সড়কে প্রাণ ঝরছেই, তিন মাসে নিহত ১ হাজার ৭৫৫ জন

নিরাপদ হচ্ছেনা সড়ক। প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল।
নিরাপদ হচ্ছেনা সড়ক। প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল।  © সংগৃহীত

কিছুতেই নিরাপদ হচ্ছেনা সড়ক। সরকারি-বেসরকারি নানা ধরনের উদ্যোগ, কর্মসূচিসহ নানান পদক্ষেপ চাহিদা অনুযায়ী সুফল আনতে পারছে না। কোন কিছুতেই কমানো যাচ্ছেনা মৃত্যুর মিছিল। প্রতিনিয়ত লাশের এই মিছিলে যুক্ত হচ্ছেন পথচারী, পরিবহন কর্মী, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, নারী, শিশু, সাংবাদিক, আইনজীবী ও প্রকৌশলী। বাদ যাচ্ছেন না বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও। 

মূলত, সড়ককে নিরাপদ করতে সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও সব কার্যক্রমকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সড়ক ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা, প্রাণহানি অব্যাহত রয়েছে। ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলায় দুই বাসের রেষারেষিতে বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর দেশজুড়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।

আগস্টের প্রথম সপ্তাহের প্রায় পুরোটা সময় ঢাকার সড়কগুলো ছিল শিক্ষার্থীদের দখলে। পরবর্তীতে এই আন্দোলন ঢাকার আশেপাশের বিভিন্ন জেলাগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। সেই নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলোও ভুলতে বসেছে সবাই।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, বছরের শুরুর তিন মাসে ১ হাজার ৭০৬ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৭৫৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২ হাজার ৯৪০ জন।

সম্প্রতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর হার অত্যন্ত উচ্চ এবং চলমান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার এসব মৃত্যুর দায়ও কেউ নিচ্ছেননা। অপরদিকে আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করা মানুষেরা আছেন আরও বেশি বিপদে।পরিবারের বোঝা হয়ে মরার মতো বেঁচে থাকতে হচ্ছে তাদের।

গত তিন মাসে ১ হাজার ৭০৬ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৭৫৫ জন নিহত হয়েছেন 

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন বলছে, বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে আহত হয়েছেন ৮৯৯ জন। একই সময়ের মধ্যে রেলপথে ৪৪ দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত ও ৭৮ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৩ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১১ জন। 

অর্থ্যাৎ সড়ক, রেল ও নৌ-পথে জানুয়ারি মাসে সর্বমোট ৬৫০টি দুর্ঘটনায় ৬৪২ জন নিহত এবং ৯৭৮ জন আহত হয়েছেন।

এছাড়া সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ২০৬ জন চালক, ১০৯ জন পথচারী, ৩৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫৩ জন শিক্ষার্থী, ১০ জন শিক্ষক, ১৩ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ১১৫ জন নারী, ৬২ শিশু, পাঁচজন সাংবাদিক, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দুজন আইনজীবী ও তিনজন প্রকৌশলী এবং ১৪ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ছয়জন পুলিশ,  একজন বিজিবি সদস্য,  দুজন আনসার সদস্য, ১৫৩ জন চালক, ৮৪ জন পথচারী, ৮০ জন নারী, ৪৬ শিশু, ৪৬ শিক্ষার্থী, ২৬ জন পরিবহন শ্রমিক, একজন সাংবাদিক, নয়জন শিক্ষক, দুজন প্রকৌশলী, দুজন আইনজীবী ও আটজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৩৯ টি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৪৮৭ জন ও আহত হয়েছেন ৭১২ জন। নিহতদের মধ্যে নারী রয়েছেন ৫৪ জন ও শিশু ৬৮ জন। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ১৮৩টির সঙ্গে জড়িত মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের হারও বেশি। এ বাহনে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৯৬ জন, যা মোট নিহতের ৪০.২৪ শতাংশ।

এছাড়াও দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত হয়েছেন ১০৮জন। রেলপথেও ৪৬টি দুর্ঘটনায় ৩৯ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছে। নৌপথে ১৪টি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন। তবে নৌ দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিখোঁজ হয়েছেন বলেও দাবি সংস্থাটির।

অর্থ্যাৎ ফেব্রুয়ারিতে সড়ক, রেল ও নৌপথে ফেব্রুয়ারিতে মোট ৫০৭টি দুর্ঘটনায় ৫২২ জন নিহত ও ৭৯৫ জন আহত হয়েছেন। এ মাসে ১৫৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৫৯ জন নিহত ও ৮২ জন আহত হয়েছেন।

পরিসংখ্যান বলছে, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত-নিহতদের মধ্যে ১৭২ জন ছিলেন চালক, ৯৩ জন পথচারী, ৩৪ জন পরিবহন কর্মী, ৬২ জন শিক্ষার্থী, ১৪ জন শিক্ষক, ৫ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৯৪ জন নারী, ৬৭ জন শিশু, ১ জন সাংবাদিক, ১ জন আইনজীবী ও ১ জন প্রকৌশলী এবং ৯ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

সবশেষ, গত মার্চ মাসেও থেমে নেই মৃত্যুর মিছিল। ৪৮৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৩৮ জন নিহত ও ১১৩৮ জন আহত হয়েছে। একই সময় রেলপথে ৫৩টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ৯টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ১৪ জন আহত এবং ২ জন নিখোঁজ হয়েছেন। 

অর্থ্যাৎ মার্চ মাসে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট ৫৪৯টি দুর্ঘটনায় ৫৯২ জন নিহত এবং ১১৬৭ জন আহত হয়েছে। এ মাসে ১৫২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ৯৭ জন আহত হয়েছে।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭৯ জন চালক, ১০১ জন পথচারী, ৬০ জন পরিবহন শ্রমিক, ১২২ জন শিক্ষার্থী, ১৩ জন শিক্ষক, ১২ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৯০ জন নারী, ৫০ জন শিশু, ২ জন সাংবাদিক, ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা, ২ জন আইনজীবী ও ১ জন প্রকৌশলী এবং ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। যার মধ্যে নিহত হয়েছে ৩ জন পুলিশ সদস্য, ৩ জন সেনাবাহিনীর সদস্য, ২ জন আনসার সদস্য, ১ জন বিমানবাহিনীর সদস্য, ১৪০ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৯৩ জন পথচারী, ৬৭ জন নারী, ৩৭ জন শিশু, ৪২ জন শিক্ষার্থী, ২৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৯ জন শিক্ষক, ৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৩ জন চিকিৎসক, ১ জন সাংবাদিক, ২ জন আইনজীবী ও ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যমতে, সড়ক দুর্ঘটনায় তিন মাসে ২৩৭ জন শিক্ষার্থী, ৩৭ জন শিক্ষক এবং ১৭৯ জন শিশু নিহত হয়েছেন।

সংস্থাটির পর্যবেক্ষণ মতে, সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- চালকের অদক্ষতা ও বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে গাড়ি চালানো, বেপরোয়া গতি ও বিপজ্জনক ওভারটেকিং, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় নামানো, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল, চালকের কর্মঘন্টা ও বেতন সুনির্দিষ্টি না থাকা, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা, রাস্তার পাশে হাট-বাজার, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ, ট্রাফিক আইন অমান্য করা ও ছোট যানবাহনের ব্যাপক বৃদ্ধি। এসবের ফলেই সড়কে দুর্ঘটনা ক্রমবর্ধমান বাড়ছে।

গত তিন মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৪৫৩ জন ছাত্র, শিক্ষক ও শিশু প্রাণ হারিয়েছেন

অপরদিকে সরকারের পক্ষ থেকে সড়কে যান চলাচল ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হলেও এখনো রাস্তায় বহাল তবিয়তে চলছে ফিটনেসবিহীন গাড়ি । 

দেখা গেছে, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর ট্রাফিক বিভাগ থেকে ঢাকায় বাস স্টপেজের জন্য ১২১টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিল দুই সিটি করপোরেশন। প্রথম কয়েক দিন এসব স্টপেজে বাস দাঁড়ালেও বর্তমানে বেশির ভাগ স্টপেজেই বাস থামছে না। আগের মতোই রাস্তার মাঝে যেখানে সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে যাত্রী উঠানামা অব্যাহত রয়েছে। এতে দুর্ঘটনার মাত্রা আরো দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

একইসঙ্গে গণপরিবহনে চলন্ত গাড়িতে দরজা বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও সেটি কেবলই দায়িত্বরত ট্রাফিক সদস্য সামনে পড়লেই  তড়িঘড়ি করে দরজা লাগানোর ভান করা হচ্ছে। আর চালকদের প্রতিযোগীতার মনোভাব তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে এসব এখন স্বাভাবিক খবরে পরিণত হয়েছে।

যত্রতত্র থামানো হচ্ছে গণপরিবহন, মানা হচ্ছেনা ট্রাফিক আইন।  ছবি: দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিরাপদ সড়কের জন্য অনতিবিলম্বে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়ার বিকল্প নেই। সড়ক শৃঙ্খলার দায়িত্বে যারা নিয়োজিত তাঁদেরকে আরো দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হতে হবে। সরকার বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অন্যান্য বিষয়কে যেমন গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে তেমনি সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণহানির ব্যাপারেও গুরত্ব প্রদান করা দরকার। 

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়কে প্রাণহানির ব্যাপারটি কতটা ভয়াবহ অবস্থায় পরিণত হয়েছে তা নতুন করে বলার কিছু নেই। সড়কে মানুষের চলাচল যেমন বাড়বে পাল্লা দিয়ে দুর্ঘটনাও বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। গত কয়েক বছর ধরে এমনটাই হচ্ছে। নিরাপদ সড়কের প্রয়োজনীয়তা বা নিরাপদ সড়কের গুরুত্বের ব্যাপারে নতুন করে বলার কিছু নেই।

তিন বলেন, নিরাপদ সড়ক বলতে যেখানে সবাই নিরাপদে চলাচল করতে পারবে তাই বুঝায়। বর্তমান সমাজে ঘর থেকে বের হলেই প্রত্যেক মানুষকে সড়ক দুর্ঘটনা নামক আতংক তাড়া করে বেড়ায়। প্রতিদিন দেশের কোনো না কোনো অঞ্চলে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেই থাকে। যার ক্ষয়ক্ষতি ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়।

তিনি আরও বলেন. মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব একেবারেই নিজের। ঘরে ফেরার সময় যাত্রীরা যদি ঝুঁকি না নেন তাহলে অনেকাংশেই দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব হবে। যানবাহন ব্যবস্থাপনা, সড়কের সক্ষমতা, ট্রাফিক আইন কোন কিছুই রাতারাতি পরিবর্তন  সম্ভব নয়। তাই দুর্ঘটনা রোধে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিধান অত্যন্ত জরুরী  নিজেদের সচেতনতা দুর্ঘটনা কমাতে পারে।

এক্ষেত্রে সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য মোটর গাড়ি চালকদের উপযোগী প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা উন্নয়ন করা, সড়ক মান উন্নয়ন করে সঠিক উপযোগী ডিজাইন করা, সড়ক দুর্ঘটনাগুলো নির্দেশনা মন্তব্য এবং বিজ্ঞাপন করে সচেতনতা বাড়ানো, সড়কে নিরাপত্তার জন্য নির্দিষ্ট বিন্দুগুলোতে সিএসএম ক্যামেরা স্থাপন করা, স্কুল ছাত্রছাত্রীদের সঠিক পথ চলাফেরা শিখানো এবং সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তিনি। 


অবশ্য সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়গুলো নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝেও। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী জুয়েল মৃধা বলেন, জনসচেতনতা এবং প্রয়োজনীয় সরকারি বেসরকারি পদক্ষেপই এই মহামারীকে রুখে দিতে পারে। আমি মনে করি সবার আগে আমরা যারা সাধারণ মানুষ তারা অধিকাংশই যোগাযোগের জন্য সড়ক পথের ওপর নির্ভরশীল। তাই এ পথের গুরুত্ব অনেক বেশি। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সবার সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টার পাশাপাশি আরো কিছু ব্যাপারে পরিবহন চালক, মালিক এবং সর্বোপরি সবাইকে সচেতন হতে হবে।

মোবরক হোসেন নামের এক আইনজীবী বলেন, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন নিয়ে রাস্তায় না নামা, অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকের হাতে গাড়ি না দেওয়া, সড়কের ওপর অবৈধ হাটবাজার বন্ধ করা, সঠিক জায়গায় ফুট ওভার ব্রীজ নির্মাণ করা, বিকল্প রাস্তার ব্যবহার না করে এক লেনে চলার চেষ্টা করা, রাস্তাগুলো সংস্কার ও মেরামত কাজ দ্রুত শেষ করা, দূরপাল্লার গাড়ির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি না চালিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী। তবেই দুর্ঘটনা কমবে। 

সবমিলিয়ে নিরাপদ সড়কে গড়তে সচেতনতা মূলক মনোভাব ও ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার দাবি সবার। প্রত্যাশা, এতেই লাগাম টানা যাবে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ।


সর্বশেষ সংবাদ