একা ঘরে পড়েছিল প্রয়াত অধ্যাপকের স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ

প্রয়াত অধ্যা পক মোহাম্মদ হবিবুল্লাহর স্ত্রী হাজেরা খাতুন
প্রয়াত অধ্যা পক মোহাম্মদ হবিবুল্লাহর স্ত্রী হাজেরা খাতুন  © সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে নিজ বাড়ি থেকে রাজশাহী কলেজের এক প্রয়াত অধ্যাপকের স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন। সোমবার (০৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল গোলাবাড়ির (ইপিজেড) সংলগ্ন মোড়ে নিজ বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত হাজেরা খাতুন (৭৬) রাজশাহী কলেজের প্রয়াত অধ্যাপক মোহাম্মদ হবিবুল্লাহর স্ত্রী। তার ভাই পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবুল ইসলাম হব্বুল।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, নিহত হাজেরা খাতুনের তিন ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ে বিদেশে এবং বাকিরা ঢাকায় থাকেন। হাজেরা খাতুন মাঝে মাঝে ঢাকায় এবং বাকি সময় ঈশ্বরদীতে নিজ বাড়িতে একাই থাকতেন।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকাল ১১টার দিকেও হাজেরা খাতুনকে বাগানে ঘুরতে দেখা গেছে। বিকেলের দিকে ঢাকা থেকে মেয়েরা ফোন করে মাকে না পেয়ে মামা হব্বুল ও প্রতিবেশীদের জানান। প্রতিবেশীরা বাড়িতে ঢুকে শোবার ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। পরে তারা তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে হাজেরা খাতুনকে বিছানার ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন।

নিহতের ভাই হবিবুল ইসলাম হব্বুল জানান, ঢাকা থেকে ভাগনিদের ফোন পেয়ে বোনের বাড়িতে আসি মাগরিবের নামাজের পর। দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় বোন পড়ে আছে। ঘরের আলমারি খোলা এবং কাপড়-চোপড় ছিটানো রয়েছে। বোনের লাশ দেখার পর আমার আর কিছু বলার শক্তি নেই।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত হাজেরা খাতুনের অবস্থায় লাশ পড়ে থাকার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘরের আলমারি খোলা এবং কাপড়-চোপড় ছড়ানো-ছিটানো ছিল। ক্রাইম সিনকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা এসে সবকিছু দেখার আগে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব না।


সর্বশেষ সংবাদ