সৌদির সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে রোজা শুরু
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৪:২২ PM , আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৪:৪৯ PM
চাঁদপুরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা শুরু করেছেন ৪০টি গ্রামের মানুষ। গতকাল বুধবার (২২ মার্চ) সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার ৪০টি গ্রামে প্রথম রোজার তারাবি নামাজ আদায় করেছেন মুসুল্লিরা। চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ আজ প্রথম রোজা পালন করছেন।
চাঁদপুরের এই ৪০টি গ্রামের মধ্যে রয়েছে- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির বেশ কয়েকটি গ্রাম।
এছাড়া চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, শরীয়তপুর ও চট্টগ্রাম জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরাও আজ থেকে রোজা রাখা শুরু করেছেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের পীর সাহেব মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘বুধবার সৌদি আরবে রোজা রাখার উদ্দেশ্যে তারাবি নামাজ আদায় হয়েছে। তাই সাদ্রাসহ চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা বুধবার তারাবি নামাজ পড়েছি।’
আরও পড়ুন: আজ তারাবিহ কাল প্রথম রোজা, জেনে নিন গুরুত্ব ও ফজিলত
আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘৯৫ বছর আগে আমার দাদা মাওলানা ইসহাক (রা.) হানাফী এই এলাকার সব আলেমদের নিয়ে সভা করে সবার সম্মতিক্রমে একদিন আগে রোজা রাখা শুরু করেন। তবে খুশির খবর বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আজকে তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
এর আগে সাদ্রার হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মরহুম মাওলানা আবু ইছহাক ইংরেজি ১৯২৮ সাল থেকে আরব বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে ইসলামের সব ধর্মীয় রীতিনীতির প্রচলন শুরু করেন। তার মৃত্যুর পর থেকে তার ছয় ছেলে এ মতবাদ চালিয়ে আসেন। এর মধ্যে পীরের বড় ছেলে আবু যোফার মোহাম্মদ আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর এখন তার ছেলে আরিফও এ মতবাদ চালাচ্ছেন।