বামপন্থীরা ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © সংগৃহীত

বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির বিষয়ে সাতটি রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠিত জোট গণতন্ত্র মঞ্চের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বামপন্থীরা মনে হয় ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।

বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চের যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট মিলে এবং তাদের সঙ্গে আরও কিছু পার্টি দাঁড়াল। আরেকটি জিনিস খুব অবাক লাগে, কোথায় বামপন্থী, আর কোথায় ডানপন্থী। যারা বামপন্থী, তারা মনে হয় ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে।  

তিনি বলেন, সেই জামায়াত-বিএনপি তাদের সঙ্গে আমাদের বাম, অতি বাম, স্বল্প বাম, তীব্র বাম, কঠিন বাম সব যেন এক হয়ে এক প্ল্যাটফর্মে। ওই যে বলেছিল না, কী বিচিত্র এই দেশ, সেলুকাস। সেই কথায় মনে হয়। কোথায় তাদের আদর্শ? কোথায় তাদের নীতি? আর কোথায় কী? 

শেখ হাসিনা বলেন, যারা হত্যাকারী, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারে সাজাপ্রাপ্ত আসামি, গ্রেনেড হামলায় আইভী রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যায় যার বিচার হয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত আসামী, দেশের টাকা পাচারকারী, সব ধরণের অপকর্ম, এতিমের টাকা আত্মসাৎ করা, এতিমের টাকা ব্যাংকে রেখে সেই টাকার মুনাফা খাওয়া, এই সমস্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামি তাদের নেতৃত্বে। আমাদের বড় বড় তাত্ত্বিক, বড় বড় কথা বলে, তারা এক হয়ে যায় কীভাবে- সেটিই আমার প্রশ্ন।  

বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছিল মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই দলে যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে? আর ১০ ডিসেম্বর যেদিন আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা শুরু করল, ১৪ তারিখ পর্যন্ত সমানে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করল, কোনো জ্ঞানী-গুণী বুদ্ধিজীবী থাকবে না, দেশটা দাঁড়াতে পারবে না- সেটিই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। এদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাদের সমর্থন করে কীভাবে? এটি ভাবলে আমার অবাক লাগে। এরা তো ইতিহাস জানে।  

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী? আওয়ামী লীগ তো ক্ষমতায় বসে নিজে খাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ তো দেশের মানুষকে খাওয়াচ্ছে। দেশে গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে ঘর দিচ্ছি। রোগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। সংবিধানে বর্ণিত মানুষের প্রতিটি মৌলিক চাহিদা আমরা পূরণ করে যাচ্ছি।  

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। সূচনা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence