গ্যাস সংকট, জামেয়া মাদ্রাসার সকালের রান্না হচ্ছে রাতে

জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদরাসার একাডেমিক ভবন
জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদরাসার একাডেমিক ভবন  © সংগৃহীত

তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে মধ্যরাতে সকালের ডাইনিংয়ের রান্না হচ্ছে জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসায়। গ্যাসের অভাবের ব্যবহার করতে হচ্ছে এলপিজি গ্যাস।

মাদ্রাসাটির ডাইনিং পরিচালক জনাব জামান জানান, গ্যাস সংকটের কারণে মধ্যরাতে ওঠে রান্নার কাজ করতে হয়। অনেক সময় গ্যাসের অভাবের কারণে এলপিজি গ্যাস ব্যবহার করতে হচ্ছে।

অতিরিক্ত খরচও বেড়ে গেছে উল্লেখ করে জনাব জামান বলেন, খরচ বেড়ে যাওয়ার আমাদেরও বেতন বাড়াতে হচ্ছে। ফলে সাধারণ ছাত্রদের পক্ষে ব্যয়ভার বহন কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে হেঁটে যাতায়াতের দাবি শিক্ষার্থীদের।

বর্তমানে মাদ্রাসার ১৫০০ জনের অধিক ছাত্র রয়েছে। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের এখানে শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। মাদ্রাসার চারটি ছাত্রবাসে থাকেন ৪৫০ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া এ মাদ্রাসায় অনেক এতিম গরিব শিক্ষার্থীরাও বিনামূল্যে পড়াশোনা করেন।গ্যাস সংকটে রান্নায় সমস্যা এবং ব্যয় বৃদ্ধির ফলে মাদ্রাসা পরিচালনা নিয়ে উদ্বিগ্ন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য বিগত কিছুদিন ধরেই গ্যাস সংকটে ভুগছে বাংলাদেশ। দেশে এখন উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুত আছে ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। প্রতিদিনের মোট চাহিদা তিন হাজার আটশ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের তুলনায়  সরবরাহ হচ্ছে দুই হাজার আটশ মিলিয়ন ঘনফুট। যার ফলে ভুক্তভোগী হচ্ছেন অনেকেই


সর্বশেষ সংবাদ