চলন্ত বাস থেকে ফেলে জবির সাবেক ছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০২২, ০৬:৫৫ AM , আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২২, ০৭:০৮ AM
রাজধানীর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীতে চলন্ত বাস থেকে ফেলে আবু সায়েম মুরাদ (৩৫) নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্রকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী শহিদ ফারুক রোডে এ ঘটনা ঘটে। বাস থেকে ফেলে দেওয়ার পর মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সন্ধ্যা ৭টায় মৃত ঘোষণা করেন।
সায়েমের পরিবার ও স্বজনেরা জানান, আবু সায়েমের বাবার নাম হেদায়েত উল্লাহ। তিনি বেঁচে নেই। দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। সায়েম দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।
নিহত মুরাদের বড় ভাই আবু সাদাত সাহেদ জানান, তার ভাই মতিঝিলের একটি বায়িং হাউজে চাকরি করতেন। অফিস শেষে শনিবার বাসে করে শহীদ ফারুক সড়কের বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় হেলপার এক যাত্রীর কাছ থেকে বেশি ভাড়া নেওয়ায় মুরাদ প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে বাসের মধ্যে তাদের তর্ক বাধে। এর জেরে শহীদ ফারুক সড়কে নামার সময় হেলপার ধাক্কা দিয়ে মুরাদকে ফেলে দেন। এরপর তার মাথার ওপর দিয়ে বাসের পেছনের চাকা তুলে দেওয়া হয়। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতাল নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
শহীদ ফারুক সড়কের ঘটনায় প্রত্যক্ষদশীরা জানান, আবু সায়েম মুরাদ ৮ নম্বর বাসের যাত্রী ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহীদ ফারুক সড়কের টনি টাওয়ারের সামনে তিনি বাস থেকে নামার সময় পড়ে যান। এ সময় বাসটির পেছনের চাকা তার মাথার ওপরে উঠে যায়। মাথা থেঁতলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। এ ঘটনায় উপস্থিত জনতা বাসটি ভাঙচুর করেন ও আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ঘটনার পর যাত্রাবাড়ী-গাবতলী রুটে চলাচলকারী ৮ নম্বর বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় বাসচালক শাহ আলম (৪০) ও তাঁর সহকারী মোহনকে (২২) পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয় লোকজন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনার বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজুল আলম বলেন, এ ঘটনা হত্যা নাকি দুর্ঘটনা, সেটি এখনই বলা সম্ভব নয়। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বাসে আগুন ধরিয়ে দিলে যাত্রীরা সেখান থেকে চলে যান। কোনো প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন, তবে এ ঘটনায় হত্যা মামলা হবে। তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসলে কী ঘটেছিল।