দুষ্প্রাপ্য ভোল মাছ নিয়ে বিপাকে জেলে, দাম হাঁকালেন ২০ লাখ

সোনালি হাইতি ভোল
সোনালি হাইতি ভোল  © সংগৃহীত

ইলিশ শিকারের উদ্দেশে সাগরে গিয়ে জালে আটকে পড়ে দুষ্প্রাপ্য ভোল মাছ। মাছটি এখনো বিক্রি করেননি ট্রলারের মালিক বাদল মাঝি। বাজার যাচাই করে প্রত্যাশিত দাম কমিয়ে এনেছেন কিন্তু সেটিও দিতে চাইছেন না ক্রেতারা। স্থানীয় কয়েকজন এখন পর্যন্ত দাম বলেছেন আড়াই লাখ টাকা। তবে বিক্রেতারা জানিয়েছেন অন্তত ১৫ থেকে ২০ লাখ হলে মাছটি বেচে দেবেন বলে । 

পিরোজপুর সদর উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্যবন্দরের বাজারে বুধবার সকালে মাছটি বিক্রির জন্য তোলা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মাছসহ ট্রলারটি ঘাটে আসে। এর পর ট্রলারের মালিক বাদল মাঝি থেকেই মাছটি বিক্রির চেষ্টা করেন । 

বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ৩২ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের ভোল মাছটি পাড়েরহাট মৎস্যবন্দরের বাজারে বরফ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। মাছটির রং সোনালী হতে শুরু করেছে বরফ দেওয়ার পর থেকে। স্থানীয় জেলে মাছটি ‘সোনালি হাইতি ভোল’ বলে ধারণা করছেন। সে অনুযায়ী বেশ কয়েকজন জেলে মন্তব্য করছেন মাছটির দাম ১৫ থেকে ২৭ লাখ টাকা হতে পারে। কিন্তু স্থানীয় কয়েকজন মাছটির দাম দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বলছেন। কিন্তু এই দামে মাছটি বিক্রি করবেন না বাদল মাঝি। 

আরও পড়ুন: ঢাবিতে ছাত্রদলের ওপর হামলাকারী সবাই ছাত্রলীগের

ট্রলারে থাকা মাঝি কবির হোসেন জানান, ‘সোনালি হাইতি ভোল মাছটি গভীর সাগরে পাই আমরা। শুনেছি এটি অনেক মূল্যবান মাছ। দুষ্প্রাপ্য সোনালি হাইতি ভোল মাছটি ওপেনে ডাকে তুলে বিক্রি করতে চাই। মাছটির ন্যায্যমূল্য পেতে চাই। ধারণা করতেছি, মাছটির মূল্য অর্ধকোটি টাকা বা তার বেশিও হতে পারে।’

স্থানীয় বাসিন্দা শিক্ষক আব্দুল মজিদ জানান, ‘সোনালি হাইতি ভোল মাছটি বিরল প্রজাতির মাছ। এই মাছ সহজে পাওয়া যায় না। আমাদের এখানকার জেলেরা আগে কখনো এই মাছ ধরেনি। এটি খুবই মূল্যবান একটি মাছ। জেলেরা অনেক কষ্ট করেছে মাছটি নিয়ে। আমরা চাই, বাদল মাঝিসহ অন্য জেলেরা মাছটি ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করুক।’

দক্ষিণ উপকূলীয় মৎস্য কল্যাণ সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, ‘মাছটি বিরল প্রজাতির হাইতি ভোল মাছ। আমি চট্টগ্রামে জেলে ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানলাম, মাছটি যদি সোনালি হাইতি ভোল হয়ে থাকে, তবে এর দাম ১৫ থেকে ২৭ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। সকাল থেকে মাছটি বাজারে তোলা হয়েছে। সবাই এসে বোটের মধ্যেই মাছটি দেখছে, দামাদামি করছে। তবে ক্রেতাদের বলা দাম বিক্রেতার পছন্দ হচ্ছে না। তাই মাছটি বরফ দিয়ে এখনো ট্রলারে রাখা হয়েছে।’ 

এ বিষয়ে বাদল মাঝি জানান, ‘আমার অনেক টাকার ঋণ আছে। এই মাছটা দুষ্প্রাপ্য এবং অনেক গুণসম্পন্ন। মাছটার একটা মানানসই দাম পেলে বেচে দেব।’ সেই মানানসই দাম কত জানতে চাইলে, অন্তত ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা বলে মন্তব্য করেন তিনি। 


সর্বশেষ সংবাদ