হ্যাঁ, আমি এবং আমার স্ত্রী করোনা আক্রান্ত। আক্রান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা দুজনই মাঠে-ঘাটে পেশাগত দায়িত্ব পালনে কাজ করেছি। সমাজের অসঙ্গতিগুলো যেমন তুলে এনেছি, তেমনি অসহায় মানুষের পাশেও দাঁড়িয়েছি। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের স্যাম্পল কালেকশনের অব্যবস্থাপনাসহ নানা ভোগান্তি তুলে ধরা, যাদের কথা কেউ বলে না, সেই অবহেলিত মানুষগুলোর অহসায়ত্ব প্রচার এবং ‘করোনার ওষুধ’ নামে কর্পোরেট অপপ্রচার বন্ধে আমি এবং আমার ‘সার্চলাইট’ টিম মাঠে ছিল করোনার শুরু থেকেই। অন্যান্য স্টেশন তাদের অপরাধ-অনুসন্ধান বিষয়ক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখলেও, সার্চলাইট এক পর্বের জন্যও বন্ধ হয়নি।
অন্যদিকে আমার স্ত্রী সানজিদা আবদুল্লাহ তিন্নি করোনার ‘ডেঞ্জার জোন’ হিসেবে পরিচিত ঢাকার কেরানীগঞ্জে দিনরাত মানুষের সেবায় কাজ করেছে। প্রতিদিন অসহায় মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া, বাজার মনিটরিং, কারখানা বন্ধ রাখা, যায়গায় যায়গায় লকডাউনের ব্যবস্থা করা, আক্রান্ত রোগিদের চিহ্নিত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করাসহ সরকারের যাবতীয় নির্দেশনা তৃণমূলে বাস্তবায়ন করেছে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে।
দুজনই যেভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি, তাতে আমরা ধরেই নিয়েছিলাম আজ বা কাল, আমরা আক্রান্ত হবোই। কেননা চাইলেও আমাদের ঘরে থাকার সুযোগ নেই। আমাদের কাজের ধরণই এমন। ফলে আমাদের একটা পূর্ব মানসিক প্রস্তুতি ছিল। কি কি করতে হবে, কিভাবে সামলে নেবো এসব নিয়ে দুজনের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনাও হয়েছে।
তবুও ‘আক্রান্ত হতে পারি’ এবং ‘আক্রান্ত হয়ে যাওয়া’ যে দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়, তা টের পেলাম রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর। বিশেষত, তিন্নি যখন আমাকে জড়িয়ে কান্নারুদ্ধ কন্ঠে বলল, আমাদের একটা বাবুও নাই! সেই মুহুর্তটাই ছিল সবচেয়ে কঠিন। কতোটা কঠিন, তা লিখে বা মুখে বলে বোঝানো যাবে না। কেবল তারাই অনুভব করতে পারবে, যারা এর ভিতর দিয়ে যেতে বাধ্য হবে। নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তা সে পরীক্ষা সবার নেবেন না!
তিন দিন আগে থেকেই আমার জ্বর, তিন্নির গলা ব্যথা এবং দুজনেরই কাশি ছিল। এর জন্য টেলিমেডিসিন নিচ্ছিলাম লেখক ও ডাক্তার আশরাফ জুয়েলের কাছ থেকে। আক্রান্ত হওয়ার পর যুক্ত হলেন বিএসএমএমইউয়ের ডাক্তার মেহেদী। এই দুজনের পরামর্শে ঔষধ ও নিয়ম-কানুনগুলো কঠোরভাবে মানতে শুরু করেছি।
আমার জ্বরটা এখন দিনে থাকে না, রাতে সামান্য আসে। তবে কাশি আছে। সারাক্ষণ কাশি কাশি একটা ভাবও আছে। এরপরও আমি মনে করি, আমি বেশ ভালো আছি। তিন্নির অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছিল আজ। এই স্ট্যাটাস যখন লিখছি তখন গায়ে সামান্য জ্বর এবং গলায় তীব্র ব্যথায় ও কথা বলতে পারছে না। কিন্তু অক্সিজেন স্যাচুরেশন ভালো। অক্সিমিটারে মেপে দেখেছি। ফলে আমরা মনে করি, উপসর্গ থাকার পরও আমাদের হাসপাতালে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি, বরং আরও সিরিয়াস কোনো রোগীর জন্য সেই দুটো সীট প্রস্তুত থাকুক।
চ্যানেল টোয়েন্টিফোর মালিক এবং ও সিনিয়ররা, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা, আমার সার্চলাইট টিম, সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও সচিব, পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বসহ এমার্জেন্সিতে ভূমিকা রাখতে পারবে এমন অনেকে সার্বক্ষণিক আমাদের খোঁজ-খবর রাখছেন।
ঢাকায় অবস্থানরত তিন্নির দূরের আত্মীয় এবং কার্যত কিছু অচেনা মানুষ, রান্না করে বাসার সামনে দিয়ে গেছেন। আরও কয়েকজনের উদ্যোগ ঠিকানা জানতে না পারায়, আটকে গেছে। উদ্বিগ্ন সবাইকে বলতে চাই, আমাদের আপাতত কিছু প্রয়োজন নেই। হলে আমরাই জানাব। তবে এই ফাঁকে এও বলে রাখি, দু-একজনকে মামুলি কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা ফোন বন্ধ করে বসে আছে! তাদের মনে করোনা আতঙ্ক ভর করেছে!
আমার একটুও মন খারাপ হয়নি। গতরাতেই নিউজে দেখলাম, বাস যাত্রায় ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে ছেলে মারা যাওয়ায় করোনা আতঙ্কে বৃদ্ধ মাকে তার ছেলের লাশসহ গভীর রাতে রাস্তায় ফেলে গেছে বাসের চালক ও যাত্রীরা। সারা রাত লাশের পাশে বিলাপ করেছেন মা! করোনা এমনই এক অচেনা নতুন পৃথিবীর মুখোমুখি করেছে আমাদের।
ডাক্তারের পরামর্শে ফেসবুক এবং ম্যাসেঞ্জার অ্যাপস ১১ তারিখই আনইন্সটল করেছি। ফোনও ধরতে পারছি না। জ্বরের কারণে ঘুম না এলেও কথা বললেই মাথা ব্যথা করে। আর তিন্নি তো গলা ব্যথ্যায় কথাই বলতে পারে না। ডাক্তার, পরিবার এবং ইমার্জেন্সিতে সহায়তা করতে পারবেন- এমন ব্যক্তি ছাড়া কারো সঙ্গে কথা হয়নি। আমাদের দুজনের যারই একটু ভালো লাগছে, সে-ই অন্যজনের টেক-কেয়ার করছি, যেহেতু বাসায় আমাদের আর কেউ নেই। ফলে শত শত ফোন এবং ম্যাসেজের রিপ্লাই দেওয়া সম্ভব নয়। আশা করছি সবাই পরিস্থিতি বুঝবেন।
আর ফেসবুকে ঢুকে তো আমি বিস্ময়ে হতভম্ভ হয়ে গেছি। এতো এতো শুভ কামনা, এতো এতো আবেগী বার্তার কয়েকটা পড়ে চোখে পানি চলে এসেছে। বুঝতে পারছি মানুষ আমাদের কতোটা ভালোবাসে, আমাদের বেঁচে থাকাটাও তাদের কাছে কতোটা জরুরি। মাঝে মাঝে এই ভেবে খুব খারাপ লাগতো যে, জীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময় পার করে ফেলেছি, পাঁচটা উপন্যাস ছাড়া নিজের উপার্জিত আর কোনো সম্পদ বা সঞ্চয় নেই।
কিন্তু আজ বুঝলাম, গাড়ী-বাড়ি নয়, মূলত মানুষের ভালোবাসাই এক জীবনের বড় সঞ্চয়। ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে কারো হৃদয়ে ঠাঁই পাওয়ার চেয়ে গৌরবের, এর চেয়ে মর্যাদার আর কিছু নেই। আমি যদি এই মুহুর্তে মরেও যাই, সত্যি বলছি, আমার কোনো আফসোস থাকবে না। লেখক হিসেবে, সাংবাদিক হিসেবে মানুষ আমাকে এবং গুণী মেয়ে হিসেবে তিন্নিকে সবাই পছন্দ করে জানতাম। কিন্তু সেই ভালোবাসা যে এত তীব্র, এত প্রবল মমমতামাখা আর মনোমুগ্ধকর- আমরা তা জানতাম না। জেনে ভালো লাগছে, বড় ভালো লাগছে। সুখের মতো ব্যথা হচ্ছে বুকে!
সব সময় মানুষের জন্য কাজ করেছি। কাউকে আঘাত দিলে, পরক্ষণেই নিজে অনুতাপে পুড়েছি। বিপদে মানুষের পাশে থেকেছি। জেনেছি, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেয়ে পূণ্যের কাজ আর নেই। সে সব পূণ্যের উছিলায় হলেও সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই আমাদের এ যাত্রায় রক্ষা করবেন।
করোনা শুরু হওয়ার পর পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি কয়েকজন লেখক বন্ধু মিলে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ‘সমন্বয়’ নামে একটা উদ্যোগ নেই আমি আর তিন্নি। আমাদের বই বিক্রির টাকা এবং বেতনেরও কিছু অংশ সেখানে দান করি। সেই অর্থ দিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক অসহায় শিক্ষার্থী ও পরিবারের কাছে খাবার, ঔষধসহ নানা প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পৌঁছে দিয়েছি আমরা। ডাকসু নেতা আসিফ তালুকদারের মাধ্যমে সারা দেশে সাহায্য বিতরণের দায়িত্বে ছিলাম আমি। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সেই কার্যক্রমে সাময়িক অসুবিধা হবে, এ জন্য খুব খারাপ লাগছে। সুস্থ হলে ফের ঝাঁপিয়ে পড়ব।
এই লেখাটা না লিখলে, অনেকেই স্থির থাকতে পারতেন না, বারবার জানতে চেয়ে টেক্সট দিচ্ছেন, তাই শতো কষ্টের মাঝেও লিখলাম। আপনাদের প্রার্থনাই আমাদের এই মুহুর্তে একান্ত কাম্য।
খুব বেশি মনে পড়লে, আমার লেখা আর তিন্নির আঁকা উপন্যাসগুলো পড়তে পারেন। কোলের শিশুকে পড়ে শোনাতে পারেন কুনো ব্যঙের বন্ধুরা। দেখবেন, আমরা কাছেই আছি। ওই সৃষ্টিকর্মগুলোই তো আপনাদের মাঝে আমাদের বাঁচিয়ে রাখবে।
আশা করছি করোনাকে জয় করে দ্রুতই ফিরবো। জানাবো সে অভিজ্ঞতার কথা। আবার বই নিয়ে ছুটবো এক শহর থেকে আরেক শহর, এক দেশ থেকে আরেক দেশ। নতুন নতুন সাহসী অনুসন্ধানে আপনাদের মুগ্ধ করবো ফের।
প্রিয় লেখক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের শেষ চিঠির কয়েকটা লাইন দিয়ে শেষ করি, যে অংশটা আমি হৃদয়ের দখিন দুয়ার উপন্যাসে ব্যবহার করেছিলাম।
‘...আজকের পর আগামীকাল আসবে, আর জীবন আমাদের আবার সুযোগ করে দেবে সব কিছু ঠিকমতো করার; কিন্তু যদি ভুল করে থাকি, আর সময় বলতে আমার কাছে আছে শুধু আজকের দিনটুকু, তাহলে আমি প্রাণপণে তোমাকে জানব যে, তোমাকে কতটা ভালোবাসি আমি, বলব তোমাকে কোনোদিনই ভুলব না...’
আবার দেখা হবে। আর দেখা হলে, আমাদের কে কি খাওয়াবেন, কোথায় কোথায় ঘুরতে নিয়ে যাবেন, সেই তালিকা করে ফেলেন জলধি। আর যদি কিছু বলতে ইচ্ছে হয়, ইনবক্সে লিখে রাখুন, আমি ভালো বোধ করলেই লেখাগুলো পড়বো।
সবাই সুস্থ থাকুন। করোনা মুক্ত থাকুন। শুভ কামনা। (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 5
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
Event: dbquery
Events
0.02 ms
Query
Database
0.31 ms
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 15
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
Event: dbquery
Events
0.01 ms
Query
Database
0.33 ms
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 17
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
Event: dbquery
Events
0.01 ms
Query
Database
0.25 ms
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 16
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
Event: dbquery
Events
0.01 ms
Query
Database
0.37 ms
SELECT *
FROM `wg_front_settings`
Event: dbquery
Events
0.01 ms
Connecting to Database: "prev"
Database
1.34 ms
Query
Database
6.77 ms
SELECT *
FROM `wg_article`
WHERE `status` = 1
AND `id_article` = '45311'
Event: dbquery
Events
0.02 ms
Query
Database
0.22 ms
SELECT *
FROM `wg_category`
WHERE `id_category` = '148'
Event: dbquery
Events
0.01 ms
Query
Database
5.44 ms
SELECT `article_body`
FROM `wg_articledetail`
WHERE `id_article` = '45311'
Event: dbquery
Events
0.03 ms
Query
Database
1.34 ms
SELECT *
FROM `wg_article`
WHERE `status` = 1
AND `id_article` != '45311'
ORDERBY `id_article` DESCLIMIT 10
Event: dbquery
Events
0.03 ms
Query
Database
1.11 ms
SELECT `id_menuitem`, `parent_id`, `item_name`, `link_type`, `menu_url`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `status` = 1
AND `id_menu` = 1
ORDERBY `menu_order` asc
Event: dbquery
Events
0.02 ms
View: detail.php
Views
1.61 ms
After Filters
Timer
0.01 ms
Required After Filters
Timer
0.32 ms
Database (10 total Queries, 10 of them unique across 2 Connections)
Time
Query String
0.37 ms
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 5
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 15
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 17
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
SELECT `id_menuitem` as `id`, `item_name` `name`, `slug`, `menu_url` `MenuLink`, `parent_id` as `parent_menu_id`, `link_type` as `LinkType`
FROM `wg_menuitem`
WHERE `id_menu` = 16
AND `status` = 1
ORDERBY `menu_order` ASCLIMIT 100
home_title -> UTF-8 string (142) "আমাদের একটা বাবুও নাই— করোনা আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী"
$value->home_title
share_title -> UTF-8 string (142) "আমাদের একটা বাবুও নাই— করোনা আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী"
$value->share_title
DetailNews -> null
$value->DetailNews
article_shoulder -> string (0) ""
$value->article_shoulder
article_hanger -> string (0) ""
$value->article_hanger
article_summary -> UTF-8 string (1017) "অন্যদিকে আমার স্ত্রী সানজিদা আবদুল্লাহ তিন্নি করোনার ‘ডেঞ্জার জোন’ হিসেবে ...
$value->article_summary
অন্যদিকে আমার স্ত্রী সানজিদা আবদুল্লাহ তিন্নি করোনার ‘ডেঞ্জার জোন’ হিসেবে পরিচিত ঢাকার কেরানীগঞ্জে দিনরাত মানুষের সেবায় কাজ করেছে। প্রতিদিন অসহায় মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া, বাজার মনিটরিং, কারখানা বন্ধ রাখা, যায়গায় যায়গায় লকডাউনের ব্যবস্থা করা, আক্রান্ত রোগিদের চিহ্নিত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করাসহ সরকারের যাবতীয় নির্দেশনা তৃণমূলে বাস্তবায়ন করেছে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে।
article_body -> UTF-8 string (18282) "<p style="text-align: justify;">হ্যাঁ, আমি এবং আমার স্ত্রী করোনা আক্রান্ত। ...
$value->article_body
<p style="text-align: justify;">হ্যাঁ, আমি এবং আমার স্ত্রী করোনা আক্রান্ত। আক্রান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা দুজনই মাঠে-ঘাটে পেশাগত দায়িত্ব পালনে কাজ করেছি। সমাজের অসঙ্গতিগুলো যেমন তুলে এনেছি, তেমনি অসহায় মানুষের পাশেও দাঁড়িয়েছি। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের স্যাম্পল কালেকশনের অব্যবস্থাপনাসহ নানা ভোগান্তি তুলে ধরা, যাদের কথা কেউ বলে না, সেই অবহেলিত মানুষগুলোর অহসায়ত্ব প্রচার এবং ‘করোনার ওষুধ’ নামে কর্পোরেট অপপ্রচার বন্ধে আমি এবং আমার ‘সার্চলাইট’ টিম মাঠে ছিল করোনার শুরু থেকেই। অন্যান্য স্টেশন তাদের অপরাধ-অনুসন্ধান বিষয়ক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখলেও, সার্চলাইট এক পর্বের জন্যও বন্ধ হয়নি।</p>
<p style="text-align: justify;">অন্যদিকে আমার স্ত্রী সানজিদা আবদুল্লাহ তিন্নি করোনার ‘ডেঞ্জার জোন’ হিসেবে পরিচিত ঢাকার কেরানীগঞ্জে দিনরাত মানুষের সেবায় কাজ করেছে। প্রতিদিন অসহায় মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া, বাজার মনিটরিং, কারখানা বন্ধ রাখা, যায়গায় যায়গায় লকডাউনের ব্যবস্থা করা, আক্রান্ত রোগিদের চিহ্নিত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করাসহ সরকারের যাবতীয় নির্দেশনা তৃণমূলে বাস্তবায়ন করেছে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে।</p>
<p style="text-align: justify;">দুজনই যেভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি, তাতে আমরা ধরেই নিয়েছিলাম আজ বা কাল, আমরা আক্রান্ত হবোই। কেননা চাইলেও আমাদের ঘরে থাকার সুযোগ নেই। আমাদের কাজের ধরণই এমন। ফলে আমাদের একটা পূর্ব মানসিক প্রস্তুতি ছিল। কি কি করতে হবে, কিভাবে সামলে নেবো এসব নিয়ে দুজনের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনাও হয়েছে।</p>
<p style="text-align: justify;">তবুও ‘আক্রান্ত হতে পারি’ এবং ‘আক্রান্ত হয়ে যাওয়া’ যে দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়, তা টের পেলাম রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর। বিশেষত, তিন্নি যখন আমাকে জড়িয়ে কান্নারুদ্ধ কন্ঠে বলল, আমাদের একটা বাবুও নাই! সেই মুহুর্তটাই ছিল সবচেয়ে কঠিন। কতোটা কঠিন, তা লিখে বা মুখে বলে বোঝানো যাবে না। কেবল তারাই অনুভব করতে পারবে, যারা এর ভিতর দিয়ে যেতে বাধ্য হবে। নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তা সে পরীক্ষা সবার নেবেন না!</p>
<p style="text-align: justify;">তিন দিন আগে থেকেই আমার জ্বর, তিন্নির গলা ব্যথা এবং দুজনেরই কাশি ছিল। এর জন্য টেলিমেডিসিন নিচ্ছিলাম লেখক ও ডাক্তার আশরাফ জুয়েলের কাছ থেকে। আক্রান্ত হওয়ার পর যুক্ত হলেন বিএসএমএমইউয়ের ডাক্তার মেহেদী। এই দুজনের পরামর্শে ঔষধ ও নিয়ম-কানুনগুলো কঠোরভাবে মানতে শুরু করেছি।</p>
<p style="text-align: justify;">আমার জ্বরটা এখন দিনে থাকে না, রাতে সামান্য আসে। তবে কাশি আছে। সারাক্ষণ কাশি কাশি একটা ভাবও আছে। এরপরও আমি মনে করি, আমি বেশ ভালো আছি। তিন্নির অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছিল আজ। এই স্ট্যাটাস যখন লিখছি তখন গায়ে সামান্য জ্বর এবং গলায় তীব্র ব্যথায় ও কথা বলতে পারছে না। কিন্তু অক্সিজেন স্যাচুরেশন ভালো। অক্সিমিটারে মেপে দেখেছি। ফলে আমরা মনে করি, উপসর্গ থাকার পরও আমাদের হাসপাতালে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি, বরং আরও সিরিয়াস কোনো রোগীর জন্য সেই দুটো সীট প্রস্তুত থাকুক।</p>
<p style="text-align: justify;">চ্যানেল টোয়েন্টিফোর মালিক এবং ও সিনিয়ররা, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা, আমার সার্চলাইট টিম, সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও সচিব, পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বসহ এমার্জেন্সিতে ভূমিকা রাখতে পারবে এমন অনেকে সার্বক্ষণিক আমাদের খোঁজ-খবর রাখছেন।</p>
<p style="text-align: justify;">ঢাকায় অবস্থানরত তিন্নির দূরের আত্মীয় এবং কার্যত কিছু অচেনা মানুষ, রান্না করে বাসার সামনে দিয়ে গেছেন। আরও কয়েকজনের উদ্যোগ ঠিকানা জানতে না পারায়, আটকে গেছে। উদ্বিগ্ন সবাইকে বলতে চাই, আমাদের আপাতত কিছু প্রয়োজন নেই। হলে আমরাই জানাব। তবে এই ফাঁকে এও বলে রাখি, দু-একজনকে মামুলি কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা ফোন বন্ধ করে বসে আছে! তাদের মনে করোনা আতঙ্ক ভর করেছে!</p>
<p style="text-align: justify;">আমার একটুও মন খারাপ হয়নি। গতরাতেই নিউজে দেখলাম, বাস যাত্রায় ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে ছেলে মারা যাওয়ায় করোনা আতঙ্কে বৃদ্ধ মাকে তার ছেলের লাশসহ গভীর রাতে রাস্তায় ফেলে গেছে বাসের চালক ও যাত্রীরা। সারা রাত লাশের পাশে বিলাপ করেছেন মা! করোনা এমনই এক অচেনা নতুন পৃথিবীর মুখোমুখি করেছে আমাদের।</p>
<p style="text-align: justify;">ডাক্তারের পরামর্শে ফেসবুক এবং ম্যাসেঞ্জার অ্যাপস ১১ তারিখই আনইন্সটল করেছি। ফোনও ধরতে পারছি না। জ্বরের কারণে ঘুম না এলেও কথা বললেই মাথা ব্যথা করে। আর তিন্নি তো গলা ব্যথ্যায় কথাই বলতে পারে না।<br />ডাক্তার, পরিবার এবং ইমার্জেন্সিতে সহায়তা করতে পারবেন- এমন ব্যক্তি ছাড়া কারো সঙ্গে কথা হয়নি। আমাদের দুজনের যারই একটু ভালো লাগছে, সে-ই অন্যজনের টেক-কেয়ার করছি, যেহেতু বাসায় আমাদের আর কেউ নেই। ফলে শত শত ফোন এবং ম্যাসেজের রিপ্লাই দেওয়া সম্ভব নয়। আশা করছি সবাই পরিস্থিতি বুঝবেন।</p>
<p style="text-align: justify;">আর ফেসবুকে ঢুকে তো আমি বিস্ময়ে হতভম্ভ হয়ে গেছি। এতো এতো শুভ কামনা, এতো এতো আবেগী বার্তার কয়েকটা পড়ে চোখে পানি চলে এসেছে। বুঝতে পারছি মানুষ আমাদের কতোটা ভালোবাসে, আমাদের বেঁচে থাকাটাও তাদের কাছে কতোটা জরুরি। মাঝে মাঝে এই ভেবে খুব খারাপ লাগতো যে, জীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময় পার করে ফেলেছি, পাঁচটা উপন্যাস ছাড়া নিজের উপার্জিত আর কোনো সম্পদ বা সঞ্চয় নেই।</p>
<p style="text-align: justify;">কিন্তু আজ বুঝলাম, গাড়ী-বাড়ি নয়, মূলত মানুষের ভালোবাসাই এক জীবনের বড় সঞ্চয়। ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে কারো হৃদয়ে ঠাঁই পাওয়ার চেয়ে গৌরবের, এর চেয়ে মর্যাদার আর কিছু নেই। আমি যদি এই মুহুর্তে মরেও যাই, সত্যি বলছি, আমার কোনো আফসোস থাকবে না। লেখক হিসেবে, সাংবাদিক হিসেবে মানুষ আমাকে এবং গুণী মেয়ে হিসেবে তিন্নিকে সবাই পছন্দ করে জানতাম। কিন্তু সেই ভালোবাসা যে এত তীব্র, এত প্রবল মমমতামাখা আর মনোমুগ্ধকর- আমরা তা জানতাম না। জেনে ভালো লাগছে, বড় ভালো লাগছে। সুখের মতো ব্যথা হচ্ছে বুকে!</p>
<p style="text-align: justify;">সব সময় মানুষের জন্য কাজ করেছি। কাউকে আঘাত দিলে, পরক্ষণেই নিজে অনুতাপে পুড়েছি। বিপদে মানুষের পাশে থেকেছি। জেনেছি, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেয়ে পূণ্যের কাজ আর নেই। সে সব পূণ্যের উছিলায় হলেও সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই আমাদের এ যাত্রায় রক্ষা করবেন।</p>
<p style="text-align: justify;">করোনা শুরু হওয়ার পর পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি কয়েকজন লেখক বন্ধু মিলে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ‘সমন্বয়’ নামে একটা উদ্যোগ নেই আমি আর তিন্নি। আমাদের বই বিক্রির টাকা এবং বেতনেরও কিছু অংশ সেখানে দান করি। সেই অর্থ দিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক অসহায় শিক্ষার্থী ও পরিবারের কাছে খাবার, ঔষধসহ নানা প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পৌঁছে দিয়েছি আমরা। ডাকসু নেতা আসিফ তালুকদারের মাধ্যমে সারা দেশে সাহায্য বিতরণের দায়িত্বে ছিলাম আমি। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সেই কার্যক্রমে সাময়িক অসুবিধা হবে, এ জন্য খুব খারাপ লাগছে। সুস্থ হলে ফের ঝাঁপিয়ে পড়ব।</p>
<p style="text-align: justify;">এই লেখাটা না লিখলে, অনেকেই স্থির থাকতে পারতেন না, বারবার জানতে চেয়ে টেক্সট দিচ্ছেন, তাই শতো কষ্টের মাঝেও লিখলাম। আপনাদের প্রার্থনাই আমাদের এই মুহুর্তে একান্ত কাম্য।</p>
<p style="text-align: justify;">খুব বেশি মনে পড়লে, আমার লেখা আর তিন্নির আঁকা উপন্যাসগুলো পড়তে পারেন। কোলের শিশুকে পড়ে শোনাতে পারেন কুনো ব্যঙের বন্ধুরা। দেখবেন, আমরা কাছেই আছি। ওই সৃষ্টিকর্মগুলোই তো আপনাদের মাঝে আমাদের বাঁচিয়ে রাখবে।</p>
<p style="text-align: justify;">আশা করছি করোনাকে জয় করে দ্রুতই ফিরবো। জানাবো সে অভিজ্ঞতার কথা। আবার বই নিয়ে ছুটবো এক শহর থেকে আরেক শহর, এক দেশ থেকে আরেক দেশ। নতুন নতুন সাহসী অনুসন্ধানে আপনাদের মুগ্ধ করবো ফের।</p>
<p style="text-align: justify;">প্রিয় লেখক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের শেষ চিঠির কয়েকটা লাইন দিয়ে শেষ করি, যে অংশটা আমি হৃদয়ের দখিন দুয়ার উপন্যাসে ব্যবহার করেছিলাম।</p>
<p style="text-align: justify;">‘...আজকের পর আগামীকাল আসবে, আর জীবন আমাদের আবার সুযোগ করে দেবে সব কিছু ঠিকমতো করার; কিন্তু যদি ভুল করে থাকি, আর সময় বলতে আমার কাছে আছে শুধু আজকের দিনটুকু, তাহলে আমি প্রাণপণে তোমাকে জানব যে, তোমাকে কতটা ভালোবাসি আমি, বলব তোমাকে কোনোদিনই ভুলব না...’</p>
<p style="text-align: justify;">আবার দেখা হবে। আর দেখা হলে, আমাদের কে কি খাওয়াবেন, কোথায় কোথায় ঘুরতে নিয়ে যাবেন, সেই তালিকা করে ফেলেন জলধি। আর যদি কিছু বলতে ইচ্ছে হয়, ইনবক্সে লিখে রাখুন, আমি ভালো বোধ করলেই লেখাগুলো পড়বো।</p>
<p style="text-align: justify;">সবাই সুস্থ থাকুন। করোনা মুক্ত থাকুন। শুভ কামনা। (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)</p>
realtednews
$value array (0)
recent
$value array (10)
0 => stdClass#107 (56)
$value[0]
Properties (56)
id_article -> string (6) "204193"
$value[0]->id_article
article_title -> UTF-8 string (105) "ঈদের দিন ঢাকার বাতাস কতটা অস্বাস্থ্যকর?"
article_summary -> UTF-8 string (882) "সকালটা অনেক শান্ত। নেই বাসার উঠোনে গরুর ডাক, নেই ঈদের আগের রাতে বাবার সঙ্গে ...
$value[1]->article_summary
সকালটা অনেক শান্ত। নেই বাসার উঠোনে গরুর ডাক, নেই ঈদের আগের রাতে বাবার সঙ্গে হাটে যাওয়ার উত্তেজনা। ঈদের নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে মা’য়ের হাতের শিরনি, সেমাই, আর মাংসের গন্ধও নেই। তবুও হাজার হাজার মাইল দূরে বসে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা তাদের মতো করে খুঁজে নিচ্ছেন আনন্দ, খুঁজে নিচ্ছেন নিজেদের ‘বাংলাদেশ’কে।
home_title -> UTF-8 string (172) "ভোটের সমতল মাঠ থাকলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন হবে: জামায়াত আমির"
$value[2]->home_title
ভোটের সমতল মাঠ থাকলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন হবে: জামায়াত আমির
share_title -> UTF-8 string (172) "ভোটের সমতল মাঠ থাকলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন হবে: জামায়াত আমির"
$value[2]->share_title
ভোটের সমতল মাঠ থাকলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন হবে: জামায়াত আমির
article_shoulder -> string (0) ""
$value[2]->article_shoulder
article_hanger -> string (0) ""
$value[2]->article_hanger
article_summary -> UTF-8 string (411) "জাতি যেনতেন নির্বাচন চায় না। বিচার, সংস্কার, জুলাই ঘোষণাপত্র ও ভোটের সমতল মা...
$value[2]->article_summary
জাতি যেনতেন নির্বাচন চায় না। বিচার, সংস্কার, জুলাই ঘোষণাপত্র ও ভোটের সমতল মাঠ থাকলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মনে করেছেন জামায়াতের আমির ডা....
home_title -> UTF-8 string (180) "'দশাইন মনে পড়ে যায় ঈদে': বাকৃবির নেপালি শিক্ষার্থী দীপেশের অনুভূতি"
$value[3]->home_title
'দশাইন মনে পড়ে যায় ঈদে': বাকৃবির নেপালি শিক্ষার্থী দীপেশের অনুভূতি
share_title -> UTF-8 string (180) "'দশাইন মনে পড়ে যায় ঈদে': বাকৃবির নেপালি শিক্ষার্থী দীপেশের অনুভূতি"
$value[3]->share_title
'দশাইন মনে পড়ে যায় ঈদে': বাকৃবির নেপালি শিক্ষার্থী দীপেশের অনুভূতি
article_shoulder -> string (0) ""
$value[3]->article_shoulder
article_hanger -> string (0) ""
$value[3]->article_hanger
article_summary -> UTF-8 string (869) "দেশজুড়ে ঈদুল আজহার ছুটিতে যখন অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরে গেছেন, তখন ব্যতিক...
$value[3]->article_summary
দেশজুড়ে ঈদুল আজহার ছুটিতে যখন অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরে গেছেন, তখন ব্যতিক্রম ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অধ্যয়নরত নেপালে থেকে পড়তে আসা ভেটেরিনারি অনুষদের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী দীপেশ আরিয়াল। পূজার সময় নিজ দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকায় এবারের ঈদের ছুটিতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে অবস্থান করেছেন।
home_title -> UTF-8 string (182) "দায়িত্বের কাছে অনুভবের পরাজয়: ঈদেও বাড়ি ফিরছে না কুবির আনসার সদস্যরা"
$value[4]->home_title
দায়িত্বের কাছে অনুভবের পরাজয়: ঈদেও বাড়ি ফিরছে না কুবির আনসার সদস্যরা
share_title -> UTF-8 string (182) "দায়িত্বের কাছে অনুভবের পরাজয়: ঈদেও বাড়ি ফিরছে না কুবির আনসার সদস্যরা"
$value[4]->share_title
দায়িত্বের কাছে অনুভবের পরাজয়: ঈদেও বাড়ি ফিরছে না কুবির আনসার সদস্যরা
article_shoulder -> string (0) ""
$value[4]->article_shoulder
article_hanger -> string (0) ""
$value[4]->article_hanger
article_summary -> UTF-8 string (859) "পবিত্র ঈদুল আজহা খুশিতে যখন দেশের প্রতিটি ঘর আনন্দে মুখর, তখন কুমিল্লা বিশ্ব...
$value[4]->article_summary
পবিত্র ঈদুল আজহা খুশিতে যখন দেশের প্রতিটি ঘর আনন্দে মুখর, তখন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের কপালে নেই বাড়ি ফেরা কিংবা পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ। নিজেদের ঈদের আনন্দ বিসর্জন দিয়ে তাঁরা রয়ে গেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে- নিরাপত্তার স্বার্থে, দায়িত্বের তাগিদে।
home_title -> UTF-8 string (149) "৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি আগে হলে আদালতে যাবেন বদলিপ্রত্যাশীরা "
$value[6]->home_title
share_title -> UTF-8 string (149) "৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি আগে হলে আদালতে যাবেন বদলিপ্রত্যাশীরা "
$value[6]->share_title
article_shoulder -> string (0) ""
$value[6]->article_shoulder
article_hanger -> string (0) ""
$value[6]->article_hanger
article_summary -> UTF-8 string (534) "বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বদলি চালুর আগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে আদালতে রি...
$value[6]->article_summary
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বদলি চালুর আগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে আদালতে রিট করার নীতিমগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বদলিপ্রত্যাশীরা। আসন্ন ঈদুল আযহার ছুটি শেষে লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগের ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি...
প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মরত জনবলকে সমগ্রেডে পদ সৃজনসহ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি জানিয়ে টানা ১১ দিনের মতো আন্দোলন করছে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা। শনিবার (৭ জুন) ঈদের দিনেও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাদের আন্দোলন চলেছে।
article_summary -> UTF-8 string (496) "চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার মো. জমির উদ্দিন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত...
$value[8]->article_summary
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার মো. জমির উদ্দিন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। উত্তীর্ণ হলেও চাকরির গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ পাননি একবারও। গত দেড়...
article_summary -> UTF-8 string (517) "ঈদ মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলেও এর আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সকল ধর্মাবলম্বী...
$value[9]->article_summary
ঈদ মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলেও এর আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সকল ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে। এটা শুধু মুসলমানদের উৎসব নয়, এটি আমাদের সমাজের ধর্মীয় সহনশীলতা ও পারস্পরিক সম্মানের এক উজ্জ্বল নিদর্শন।
আমাদের একটা বাবুও নাই— করোনা আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী
description
অন্যদিকে আমার স্ত্রী সানজিদা আবদুল্লাহ তিন্নি করোনার ‘ডেঞ্জার জোন’ হিসেবে পরিচিত ঢাকার কেরানীগঞ্জে দিনরাত মানুষের সেবায় কাজ করেছে। প্রতিদিন অসহায় মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া, বাজার মনিটরিং, কারখানা বন্ধ রাখা, যায়গায় যায়গায় লকডাউনের ব্যবস্থা করা, আক্রান্ত রোগিদের চিহ্নিত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করাসহ সরকারের যাবতীয় নির্দেশনা তৃণমূলে বাস্তবায়ন করেছে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে।
canonical
https://thedailycampus.com/mukto-column/45311
amplink
https://thedailycampus.com/mukto-column/45311/amp
news_url
https://thedailycampus.com/mukto-column/45311
page_title
আমাদের একটা বাবুও নাই— করোনা আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী: The Daily Campus
share_title
আমাদের একটা বাবুও নাই— করোনা আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী: The Daily Campus
page_desc
অন্যদিকে আমার স্ত্রী সানজিদা আবদুল্লাহ তিন্নি করোনার ‘ডেঞ্জার জোন’ হিসেবে পরিচিত ঢাকার কেরানীগঞ্জে দিনরাত মানুষের সেবায় কাজ করেছে। প্রতিদিন অসহায় মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া, বাজার মনিটরিং, কারখানা বন্ধ রাখা, যায়গায় যায়গায় লকডাউনের ব্যবস্থা করা, আক্রান্ত রোগিদের চিহ্নিত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করাসহ সরকারের যাবতীয় নির্দেশনা তৃণমূলে বাস্তবায়ন করেছে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে।