স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দরকার জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট ইকোনোমি

শাহ বিলিয়া জুলফিকার
শাহ বিলিয়া জুলফিকার   © টিডিসি ফটো

আমরা বাঙালি। একটি গর্বিত জাতি। আর গর্বিত হওয়ার প্রধান কারণ হলো, আমরা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক। স্বাধীনতা নিয়ে এইযে বাঙালির গর্ব, সে অতি পরিচিত এক ব্যাপার। এ গর্ব,আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের মধ্যেও একটা প্রশ্ন থেকে যায়। আমরা কী এ স্বাধীনতা খুব সহজেই অর্জন করে ফেলেছি? মোটেও না! আমরা আমাদের এ স্বাধীনতা অর্জন করেছি নানান ত্যাগ-তিতিক্ষা ও লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। প্রসঙ্গতই কবি শামসুর রহমানের 'তোমাকে পাওয়া জন্য হে স্বাধীনতা' কবিতার কথা মনে পড়ছে। যেখানে সে ত্যাগের কিঞ্চিৎ সুর পাওয়া যায়।

স্বাধীনতা অর্জন করতে, বাঙালির বুকের তাজা রক্ত দিয়ে ঢেলে দিতে হয়েছিলো। আমরা শুধু পাকিস্তানি জালিম শাসকদের কাছেই পরাধীন ছিলাম না। তারও আগে একটি জালিম গোষ্ঠী আমাদের স্বাধীনতা হরণ করেছিলো। সে অর্থে, দীর্ঘকালব্যাপী আমরা পরাধীন ছিলাম। এ পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হওয়ার সূচনাটা হয়েছিলো বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌলার পতনের মধ্য দিয়ে। ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। তারপর ইংরেজদের শোষণ চলমান থাকলে, এদেশের বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা বিদ্রোহ শুরু করে তাদের বীরত্ব প্রকাশ করেছিলো। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছিলাম ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি রাষ্ট্র।

নতুন দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হলেও আমরা পূর্ণাঙ্গ ভাবে স্বাধীনতা পায়নি, স্বাধীন হয়নি। এরপর শুরু হয় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক বাঙালিদের নতুন করে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখার ষড়যন্ত্র। স্বাধীনতার জন্য দৃঢ় প্রত্যয়ে দীপ্ত বাঙালির সামনে কোনো মরণাস্ত্রই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। বীর বাঙালিরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের অত্যাচার রুখে দিতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলো,মুক্তির ডাক দিয়েছিলো এবং স্বাধীনতা অর্জন করেছিলো।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এক দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের ফলশ্রুতি। ১৯৭১ সালে অতর্কিত বা হঠাৎ করেই বাঙালিরা সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছিলো ব্যাপারটা মোটেও এমন না। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংগ্রাম, সশস্ত্র প্রস্তুতি এবং কৃষক-শ্রমিক, মেহনতি মানুষ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে লড়াই সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি।

৫২-এর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, ৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়লাভ, ৫৬-এর সংবিধান প্রণয়ন আন্দোলন, ৫৮-এর মার্শাল 'ল' বিরোধী আন্দোলন, ৬২-এর শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ৬৬-এর ৬-দফা আন্দোলন, ৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫-শে মার্চ কালো রাতে গণহত্যা এবং পরবর্তীতে ২৬-শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয় বাঙালি জাতি। পরিশেষে, নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করি,আমরা স্বাধীন হয়।

স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পর পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে দেশকে গড়তে এবং উদ্ভূত সমস্যাগুলি মোকাবেলা করতে সবচেয়ে বেশি জরুরি কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা। কেননা আমরা জানি "শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড" । শিক্ষার মাধ্যমে একজন মানুষ সত্যিকারের মানুষ হয়। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থা হতে হবে শিক্ষার্থীদের অনুকূলে। যে শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে , তারা নানাবিধ কর্মক্ষেত্রে যেতে পারবে। দেশের উন্নয়নে কাজ করবে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চলনসই। তবে আমাদের পাঠ্যক্রমে আরও কিছু বিষয়ের উপর জোর দেওয়া সময়ের দাবি। যেগুলো শিক্ষার্থীদেরকে এগিয়ে রাখবে কর্ম ক্ষেত্রে।

যেহেতু আধুনিক বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তাই শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার শিক্ষা এখন অতি প্রয়োজন একটি বিষয়। বর্তমানে কর্মক্ষেত্র বা কর্ম ক্ষেত্রের বাহিরে সর্বত্রই কম্পিউটারের বিস্তার ব্যাপক। তাই বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে কম্পিউটারের দক্ষতা খুব বেশি প্রয়োজন। তাছাড়া ডাটা ব্যবস্থাপনা শিক্ষা কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ দক্ষতা,সেলফ ম্যানেজমেন্ট ও টাইম ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা, নেগোসিয়েশন স্কিল, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার দক্ষতা, টাইপিং দক্ষতা ইত্যাদি আমাদেরকে কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে রাখতে সাহায্য করবে।

মোট কথা, যে বিষয় গুলো আমাদের কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে রাখবে, সেসব বিষয় গুলো যদি আমাদের পাঠ্যক্রমে জোরালো করা হয়, তাহলে আমাদের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে থাকবে কর্মক্ষেত্রে এবং বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাবে দেশ। আমরা আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবো। আধুনিক পদ্ধতি আয়ত্ত করে স্মার্ট হয়ে উঠতে পারবো।শিক্ষার্থীরা স্মার্ট হয়ে উঠলে, জনসংখ্যার বিশেষ একটি অংশ পরিণত হবে 'স্মার্ট সিটিজেন'- এ। যা স্মার্ট বাংলাদেশের বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দরকার জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট ইকোনোমি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' হিসেবে গড়ে তুলতে তারুণ্যের মেধা, উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার বিকাশ এবং আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সামগ্রিকভাবে দেশে উদ্ভাবন ও গবেষণার ক্ষেত্রে যখন বিবর্ণ চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে, তখন জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলা এবং উদ্ভাবনী জাতি গঠনকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ মাস্টারপ্ল্যান তৈরির উদ্যোগ সুবিবেচনাপ্রসূত ও প্রশংসনীয়। 

প্রাকৃতিক সম্পদের দুষ্প্রাপ্যতা সত্ত্বেও কোনো দেশ বিজ্ঞান, কারিগরি ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ এবং দক্ষ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশে পরিণত হওয়া সম্ভব। যার বাস্তবচিত্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় টাইগার অর্থনীতির দেশগুলো। যারা জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির পথে হেঁটেই তাদের অর্থনীতিকে দ্রুত বিকশিত করে রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। এর নেপথ্যে রয়েছে উদ্ভাবন ও গবেষণা।

দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে বুদ্ধিবৃত্তিক অর্থনৈতিক জাগরণ সৃষ্টির নিজস্ব উদ্যোগের অভাব প্রকট। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে, আমাদের দেশকে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' এ রুপান্তর করার লক্ষ্যে দেশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উদ্ভাবন ও গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়ে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি সময়ের দাবি।

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে প্রযুক্তি নির্ভর দেশ। ফলে এখন থেকেই প্রযুক্তির উৎকৃষ্ট ব্যবহার করতে হবে। ইতোমধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ গঠনের পাশাপাশি একটি নির্বাহী কমিটিও গঠিত হয়েছে, যারা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরি করবে। তাছাড়া সরকার প্রযুক্তি খাতে বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে গঠন করতে।

বর্তমানে প্রচলিত প্রযুক্তির আধুনিকায়নের পাশাপাশি, উন্নততর প্রযুক্তির ব্যবহার 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, ইন্টারনেট, রোবোটিকস, ই-ব্যাংকিং, ফাইভ-জি সেবা নিশ্চিত করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

তাছাড়া 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বাস্তবায়নের জন্য বহুমুখী কার্যক্ষমতা সম্পন্ন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ স্থাপনের পাশাপাশি সরকারের উচিত উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া। এসব প্রযুক্তির উৎকৃষ্ট ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন দক্ষতা, প্রয়োজন যথোপযুক্ত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা। কেননা,প্রযুক্তি শুধু একটি দেশকে স্মার্ট আর উন্নতই করে না বরং সেদেশের মানুষের জীবন-যাপন, চলাচলও সহজ করে। বাংলাদেশে প্রযুক্তি খাতে যথাযথ উন্নয়ন দরকার, যা এদেশকে উন্নত করার পাশাপাশি 'স্মার্ট বাংলাদেশ' হিসেবে পরিণত করতে সাহায্য করবে। শিক্ষার্থীদের অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস,টেলিমেডিসিন সেবা, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে মানুষের পরিবর্তে রোবোটিকস, কৃষকের কৃষি কাজে প্রযুক্তি ইত্যাদির ব্যবহার চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। 

বাংলাদেশ কে উন্নত দেশে রূপান্তর করার সবচেয়ে বড়ো প্রতিবন্ধকতা হলো দারিদ্র্য। দরিদ্রতা আমাদের দেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা। বর্তমান সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও, দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমছে না আশানুরূপ। আমরা যদি একে অপরের পাশে না দাঁড়াই, মানুষ মানুষের জন্য কাজ না করি তাহলে দরিদ্র দূরীকরণ অসম্ভব প্রায়। তাই বিষয়টি নিয়ে আমাদেরকেই ভাবতে হবে ও সচেতন হতে হবে।

দারিদ্র্য কাটিয়ে ওঠে বিশ্বকে সমৃদ্ধশালী করার জন্য ২০১৫ সালে জাতিসংঘ ১৭ টি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করে। এই লক্ষ্য ২০৩০ সালে পূর্ণ হবে। যার ১ম টিতে বলা হয়েছে 'সর্বত্র সব ধরনের দারিদ্র্যের অবসান'। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ৭টি লক্ষ্য এবং ১৩ টি সূচক রয়েছে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও এসডিজির লক্ষ্য মাত্রা পূরণে সমান তালে কাজ করে যাচ্ছে।তবে আমাদের দেশে দারিদ্র্য অন্যতম প্রধান এক সমস্যার নাম। দারিদ্র্য এদেশে উদ্বেগের কারণ হলেও, বাংলাদেশের নিজস্ব কিছু দারিদ্র্য দূরীকরণের মডেল আছে। যা বিশ্বে প্রশংসা পেয়েছে এবং কোনো কোনোটি তৃতীয় বিশ্বের কিছু দেশে অনুকরণীয়ও।

তাছাড়া দারিদ্র্য নিয়ে কাজ করে তিন মহান বাঙালি নোবেল জয়ের অনন্য গৌরব অর্জন করেছেন। ড. অমর্ত্য সেন (১৯৯৮) পেয়েছেন দারিদ্র্য বিষয়ে তাত্ত্বিক জ্ঞান তৈরির জন্য। ড. মুহাম্মদ ইউনূস (২০০৬) পেয়েছেন দারিদ্র্য দূরীকরণে গরিবদের উপযোগী ব্যাংক তৈরির জন্য। আর ড. অভিজিৎ ব্যানার্জি (২০১৯) পেয়েছেন দারিদ্র্য দূরীকরণে পরীক্ষাগার পদ্ধতি প্রবর্তনের জন্য। এতো শত পরিকল্পনা, গবেষণা আর পুরস্কারের পরও দরিদ্র দূরীকরণ কতটুকু সম্ভব হয়েছে প্রশ্ন থেকে যায়।জানতে ইচ্ছে করে কবে দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ পাবো? কেনো এ প্রশ্ন করছি তা দরিদ্রতার পরিসংখ্যান দেখলেই বোধগম্য হবে। 

২০২৩ এর প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের র‍্যাংকিং তিন ধাপ এগিয়ে ১৬৬ টি দেশের মধ্যে ১০১ তম। বর্তমানে দারিদ্রতার হার ১৮.৭%। অতি দারিদ্র্যের হার ৫.৬%। যা ২০১৬ সালে যথাক্রমে ছিল ২৪.৩% ও ১২.৯%। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি দরিদ্র কুড়িগ্রাম জেলায়। এখানে প্রতি ১০০ জনে ৭১জন দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করছে। পরিসংখ্যান আমাদের হতাশ করলেও দেশের বর্তমান গতিশীলতা আর উন্নয়ন দরিদ্র দূরীকরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে আশা করি। কেননা,বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বাড়ছে প্রতিনিয়ত। 

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এক প্রতিবেদনে জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২৭৬৫ মার্কিন ডলার। ফলে সমীকরণ পর্যালোচনায় বলা যায়, বাংলাদেশ দরিদ্র দূরীকরণে অনুকরণীয় মডেল হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হবে অদূর ভবিষ্যতে কিংবা অতি শীঘ্রই। আর এসডিজি লক্ষ্য মাত্রা-১ অর্জন করতে হলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তাছাড়া কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, বেকারত্ব কমানো,ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া, কৃষি কার্যক্রমে উৎসাহী করা, সকলের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত কর ও কর বা শুল্ক কমানোর ফলে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়ক হবে। ফলে বাংলাদেশ পরিণত হবে উন্নত দেশে।


সর্বশেষ সংবাদ