বেসরকারি মেডিকেলে শিক্ষক দরকার ৯ হাজার, আছে সাড়ে ৪ হাজার

ক্লাস করছেন মেডিকেল শিক্ষার্থী
ক্লাস করছেন মেডিকেল শিক্ষার্থী  © ফাইল ছবি

দেশে বর্তমানে ৭২টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৯ হাজার শিক্ষক দরকার। তবে শিক্ষক রয়েছেন সাড়ে ৪ হাজার। ফলে শিক্ষক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রমের স্বাভাবিক গতি।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এমবিবিএস শিক্ষাক্রমে চার বছরে আটটি মৌলিক বিষয় পড়ানো হয়। আর শেষ এক বছর হাসপাতালে ইন্টার্ন করতে হয়। আটটি মৌলিক হচ্ছে-এনাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, প্যাথলজি, ফার্মাকোলজি, কমিউনিটি মেডিসিন, মাইক্রোবায়োলজি, ফরেনসিক মেডিসিন ও ভাইরোলজি। বিষয়গুলোকে চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রাণ হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়। তবে এসব মৌলিক বিষয় পড়নোর জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে।

বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে কত শিক্ষক রয়েছে সেই তথ্য চাওয়া হলেও দেয় না সংশ্লিষ্ট কলেজগুলো। তথ্য না দেওয়ায় ওয়েবসাইটে সেটি প্রকাশ করতে পারে না স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে করে এই মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষক সংকট থাকলেও জানতে পারেনা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: নির্যাতন করতেন সৎ মা, আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন পারপিতা

জানা গেছে, দেশে ৭২টি বেসরকারি মেডিকেলের মধ্যে চলতি আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিভাগের ৩৩টি, চট্টগ্রামের ১০টি, রাজশাহীর ছয়টি, খুলনা ও সিলেটের চারটি এবং রংপুরের একটিসহ ৫৮ টি কলেজ তাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সংখ্যার তথ্য দিয়েছে। বাকি ১৪টি তথ্য দেয়নি।

যে কলেজগুলো তথ্য দিয়েছে সেগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৫৮টি কলেজে ৮৯০ জন অধ্যাপক, সহযোগী ৮৯৫, সহকারী ৭৯৯, কিউরেটর ৭৩ এবং ১ হাজার ৯৬৮ প্রভাষক কর্মরত আছেন ৭২াট মেডিকেলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা হিসেব করলে শিক্ষক দরকার ৯ হাজার। তবে রয়েছে মাত্র ৪ হাজার ৬২৬ জন।

শিক্ষক সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন বলেন, আমাদের অনেক পোস্ট গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন চিকিৎসক রয়েছে। তবে ধারাবাহিক পদোন্নতি থাকায় তারা শিক্ষকতা পেশায় আসছেন না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুই অধিদপ্তরের মধ্যে একটি কমিটি করে সমন্বয়ের ভিত্তিতে দ্রুত শিক্ষক সংকট করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা শিক্ষক সংকট দূর করতে চেষ্টা করছি।


সর্বশেষ সংবাদ