গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা

শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক ক্লাস নিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকা

ডা. সুলতানা আলগিন
ডা. সুলতানা আলগিন  © সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে চাইলে শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক ক্লাসে অংশ নিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। 

আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্যান্য চিকিৎসক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে। জানা গেছে, ওই ‍শিক্ষিকার নাম ডা. সুলতানা আলগিন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির মনোরোগবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেই। কিন্তু ম্যাম আমাদের স্পষ্ট করে বলেন যে, ক্লাসে না আসলে ভবিষ্যতে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারব না। অনেকেই তাই বাধ্য হয়ে ক্লাসে যায়।’

বিশ্ববিদ্যালয়টির সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার সব ক্লাস ও পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে অধ্যাপক সুলতানা আলগিন সেই নির্দেশনা অমান্য করেই এমডি কোর্সের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিত থাকতে জোর করেন এবং অনুপস্থিত থাকলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বন্ধ বা ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন একাধিক শিক্ষার্থী।

অভিযোগ রয়েছে, অধ্যাপক আলগিন সরকার-ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) একজন সক্রিয় সদস্য। অতীতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মিছিলে শিক্ষার্থীদের জোর করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, ‘একজন শিক্ষকের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের মানসিক ও একাডেমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও ধর্মীয় বৈষম্যপূর্ণ আচরণ একটি গণতান্ত্রিক শিক্ষা পরিবেশের পরিপন্থি। যখন একজন শিক্ষক তার ক্ষমতা, রাজনৈতিক পরিচয় বা ব্যক্তিগত মতাদর্শ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার হরণ করেন, তখন তা শুধু শিক্ষার্থী নয়, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার ওপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ডা. আলগিনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি এসেছে, আমরা সেটি নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’

এই প্রসঙ্গে অভিযুক্ত অধ্যাপক ডা. সুলতানা আলগিনের সঙ্গে যোগাযোগের করা সম্ভব হয়নি। 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence