মেডিকেলের ক্লাস শুরু ২৩ জুলাই

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর  © ফাইল ফটো

মেডিকেলের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ক্লাস আগামী ২৩ জুলাই থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। বুধবার (১২ জুলাই) অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা)  ডা. মুজতাহিদ মুহাম্মদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ১০ জুলাই থেকে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে না পারায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ক্লাস শুরুর তারিখ পেছানোর কথা জানানো হয় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।

চলতি ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিলেন দেশের ১ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। গত ১০ মার্চ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১২ মার্চ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৪ হাজার ৩৫০টি। এ হিসাবে প্রতিটি আসনে ভর্তির জন্য লড়েন ৩২ জন শিক্ষার্থী। আর ৬৬টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন ৬ হাজার ৭৭২টি। সব মিলিয়ে এ শিক্ষাবর্ষে ১১ হাজার ১২২ জন পরীক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন। এ হিসাবে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিটি আসনের জন্য ১২ দশমিক ৫ জন পরীক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এবছর নানা আলোচনা-সমালোচনার অবসান ঘটিয়ে প্রথমবারের মতো অটোমেশন পদ্ধতিতে মেধাক্রম অনুযায়ী দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হন শিক্ষার্থীরা। ফলে টাকার মানদণ্ডের পরিবর্তে মেধার ভিত্তিতে বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি হতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ১৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকায় গত ৯ জুলাই প্রথম ধাপে তারা ভর্তি হন অধিদপ্তরের মনোনীত মেডিকেল কলেজে।

দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু থাকলেও বিগত বছরগুলোতে বেসরকারি কলেজগুলোতে মেধার চেয়ে টাকার মানদণ্ডে যারা এগিয়ে থাকতেন, তারাই ভর্তির সুযোগ পেতেন। অটোমেশন পদ্ধতিতে মেধাতালিকা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি কলেজে ভর্তির সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। এর আগে বিগত ২০২১ সালে অটোমেশন চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। 

এ নিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) ডা. মুজতাহিদ মুহাম্মদ হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন, জুলাইয়ে ক্লাস শুরু করতে পারলে আগামী জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রথম প্রফ দিতে পারবেন। এ সেশন ধরার ফলে শিক্ষার্থীদের বসে থাকতে হবে না এবং তারা সময়মতো কোর্স শেষ করতে পারবেন বলে আশা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।


সর্বশেষ সংবাদ