বেসরকারি মেডিকেলে কোটায় মনোনীতদের তথ্য যাচাই করবে কর্তৃপক্ষ

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর  © ফাইল ছবি

দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজে দরিদ্র ও মেধাবী কোটায় মনোনীতদের (এসএমএসপ্রাপ্ত) দেওয়া তথ্য যাচাই করবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। ভর্তির হলফনামায় শিক্ষার্থীরা যে তথ্য দিয়েছেন তা বিস্তারিত যাচাই-বাচাই করেই ভর্তি চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়া আগামীতে বেসরকারি মেডিকেল ভর্তি এবং দরিদ্র ও মেধাবী কোটায় স্বচ্ছতা আনতে আরও কঠোর হবে প্রতিষ্ঠানটি।

মঙ্গলবার (২০ জুন) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে আলাপকালে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) ডা. মুজতাহিদ মুহাম্মদ হোসেন। তিনি বলেন, আমরা যোগ্য এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা শিক্ষায় সুযোগ দিতে চাই।

আরও পড়ুন: নীতিমালা পরিবর্তনের পর বেসরকারি মেডিকেল ভর্তিতে ফের বিজ্ঞপ্তি

বেসরকারি মেডিকেলে মেধাক্রমে শেষ দিকে থেকেও দরিদ্র ও মেধাবী কোটায় ভর্তির মৌখিক পরীক্ষায় মনোনয়ন পাওয়ার—বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বেশ কিছু বিষয়ে মার্কিং করে শিক্ষার্থীদের বাচাই করা হয়েছে। এবার দরিদ্র ও মেধাবী কোটার ক্ষেত্রে সম্পদ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে ২৯ এবং মেধার ক্ষেত্রে ২১ নম্বর রাখা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা (এসএমএস) হয়েছে। মূলত, আমরা সবগুলো বিষয় দেখার কারণেই কোনো শিক্ষার্থী সামনে থেকেও বাদ পড়েছেন আবার কোনো কোনো শিক্ষার্থী মেধাক্রমে শেষের দিকে থাকলেও তার সম্পদ কম থাকার কারণে তারা মনোনীত হয়েছে।

আগামীতে আমরা তথ্যের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন বা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে মনোনয়ন দিতে পারি। তাহলে আর কোনো যোগ্য প্রার্থী বাদ পড়বে না এবং প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীরাই ভর্তির সুযোগ পাবে—ডা. মুজতাহিদ মুহাম্মদ হোসেন

ডা. মুজতাহিদ মুহাম্মদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা ভর্তির হলফনামায় সম্পদের যে পরিমাণ উল্লেখ করেছেন, আমরা তা যাচাই-বাচাই করবো। কলেজের গভর্নিং বডিও এসব তথ্য খতিয়ে দেখবে। কোনো শিক্ষার্থীর তথ্য তথ্যে কোনো গড়মিল থাকলে বা অসত্য তথ্য দিলে ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে ভর্তি বাতিলের মতো সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।

প্রসঙ্গত, বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য ৬ হাজার ৩৫৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এর মধ্যে সাধারণ কোটায় আবেদন করেছেন প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী। দরিদ্র কোটা এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ অন্যান্য কোটায় এক হাজার ৪০০ এর বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছেন। এছাড়াও এখন পর্যন্ত আসন বরাদ্দ পূর্বক এসএমএস প্রদান করা হয়েছে ৩ হাজার ৩৩১ জন এবং ভর্তি নিশ্চয়ন সম্পন্ন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার ১০৮ জন। আর আগামী ২৭ জুন ভর্তির চূড়ান্ত মেধাতালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে—জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।


সর্বশেষ সংবাদ