কওমী মাদ্রাসার চাকরি-পদোন্নতিকে নেই কোনো নির্ধারিত কাঠামো

  © ফাইল ফটো

কওমী মাদ্রাসার চাকরি-পদোন্নতিকে নেই কোনো নির্ধারিত কাঠামো নেই বলে জানিয়েছেন দৈনিক নয়া দিগন্তের সিনিয়র সাব এডিটর ও দারুর রাশাদ মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক মাওলানা লিয়াকত আলী। তিনি বলেন, ‘কওমী মাদরাসাগুলোর পরিচালনাগত কিছু বিষয়ের প্রতিও মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। অত্যন্ত তিক্ত হলেও সত্য যে, সাধারণভাবে কওমী মাদরাসাগুলোতে বিধিবদ্ধ ও লিখিত কোন চাকরিবিধি নেই।’

বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারের চতুর্থ সেশনে কওমী মাদ্রাসার সার্বিক চিত্র ও করণীয় মোকাবেলায় এক প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরেন তিনি। 

সেমিনারের চতুর্থ সেশনে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ আবু ইউসুফ খান। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন: আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের আদলে কওমী মাদ্রাসায় আন্তঃবেফাক কমিটি গঠনের দাবি

প্রবন্ধে মাওলানা লিয়াকত আলী বলেন, ‘কওমী মাদ্রাসায় জনবল কাঠামো, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ, পদায়ন, পদোন্নতি, বদলি, বেতন-ভাতা বা সুযোগসুবিধার কাঠামো, শাস্তি, অব্যাহতি, অবসর, অবসরকালীন সুবিধা ইত্যাদির কোন নির্ধারিত কাঠামো নেই।

প্রতিষ্ঠানগুলোর শৃঙ্খলার স্বার্থে এই ঘাটতিগুলো পূরণের প্রতি মনোযোগ দেওয়া জরুরি। এ বিষয়ে হাইয়াতুল উলয়াকে কাজে লাগানো যায়। হাইয়াতুল উলয়ার মাধ্যমে একটি চাকুরিবিধি প্রণয়ন করে তা সব মাদ্রাসার জন্য অনুসরণীয় করা হলে সবারই উপকার হবে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের দশম জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে ‘কওমী মাদ্রাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিসের (তাকমিল) সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান বিল পাস হয়। ওই বছর ১৩ আগস্ট এই আইনের খসড়ার অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

১০ সেপ্টেম্বর প্রথমবার তা সংসদে তোলা হয়। এ সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী গঠিত কর্তৃপক্ষ বা আল হাইয়াতুল উলয়ার অধীনে পরীক্ষা দিয়ে প্রতি বছর বছর ত্রিশ হাজারের বেশি আলেম দেশ ও মুসলিম উম্মাহর দ্বীনি খেদমতের প্রেরণা ও অঙ্গীকার নিয়ে বের হচ্ছেন। তবে কওমী মাদ্রাসাগুলোতে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মাচারীদের জন্য লিখিত কোন চাকুরি বিধান নেই।


সর্বশেষ সংবাদ