কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত মাদ্রাসা, অনিশ্চিত ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান

কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত মাদ্রাসা
কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত মাদ্রাসা  © টিডিসি ফটো

ছুটি শেষে মাদ্রাসার ক্লাস শুরু হলেও ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদানে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ভোলার লালমোহন উপজেলার পূর্ব চরউমেদ আহম্মদিয়া দাখিল  মাদ্রাসায়। কালবৈশাখী ঝড়ে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে মাদ্রাসার টিনশেড ঘরটি।

জানা গেছে, লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব চরউমেদ আহম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯৭৫ সালে একটি দোচালা টিনশেড ঘর নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। ঐ সময়ের নির্মাণাধীন টিনশেড ঘরটিতে আজও উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। প্রতি বছর শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে টিনশেড ঘরটি মেরামত করা হয়।

বর্তমানে  মাদ্রাসাটিতে ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। অজোপাড়া গাঁয়ে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে এই মাদ্রাসাটি। তবে জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরটিতে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শিক্ষকরা। ঠিকমতো ক্লাস করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরাও।

সম্প্রতি লালমোহন উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আকস্মিক কালবৈশাখীর ঝড়ে মাদ্রাসাটি দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে যায়। ঐ ঝড় চলে যাওয়ার বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও  মাদ্রাসার আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে নতুন করে নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি।

পূর্ব চরউমেদ আহম্মদিয়া দাখিল  মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও রমাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ঝড়ে মাদ্রাসাটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমি নিজে গিয়ে ঐ  মাদ্রাসার বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন করেছি। কীভাবে নতুন করে  মাদ্রাসার জন্য টিনশেড ঘর তোলা যায় তার চেষ্টা করছি।

অভিভাবক জসিম উদ্দিন ও জামাল ভুঁইয়া বলেন, ঝড়ে  মাদ্রাসার টিনশেড ঘরটি ভেঙে গেছে। এ জন্য আমাদের সন্তানদের এখন ক্লাসে পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ক্লাসে বসার কোনো স্থান নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে  মাদ্রাসার টিনশেড ঘর নির্মাণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।

মাদ্রাসা সুপার মাওলানা অলিউল্যাহ বলেন, প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এরমধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে  মাদ্রাসার টিনশেড ঘরটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। শ্রেণি কক্ষের কাঠের বেঞ্চ-টেবিলগুলোও ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এতে করে মাদ্রাসা খোলার পর কিভাবে পাঠদান শুরু করবো তা নিয়েই চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। এই গরমের মধ্যে খোলা আকাশের নিচেই হয়তো পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

এ বিষয়ে লালমোহনের ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে ঐ  মাদ্রাসাটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জেনেছি।  মাদ্রাসার পক্ষ থেকে সরকারি সহযোগিতার জন্য লিখিত আবেদন পেয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঐ মাদ্রাসার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতার উদ্যোগ নেয়া হবে।

 

সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence