গর্ভাবস্থায় ফলিক অ্যাসিড কেন গুরুত্বপূর্ণ

গর্ভাবস্থায় ফলিক অ্যাসিড
গর্ভাবস্থায় ফলিক অ্যাসিড  © সংগৃহীত

সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন বা সদ্য গর্ভধারণ করেছেন—এমন নারীদের জন্য ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ফলিক অ্যাসিড, যা ভিটামিন বি-এর একটি রূপ, গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক ও স্নায়ুরজ্জুর সঠিক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভধারণের শুরুতেই প্রতিদিন ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড সেবন করলে অনাগত সন্তানের জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। কারণ, গর্ভাবস্থার প্রথম তিন থেকে চার সপ্তাহেই বেশিরভাগ জন্মগত ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে গর্ভধারণের পরিকল্পনার শুরুর দিক থেকেই ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ শুরু করা উচিত।

এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (সিডিসি) জানিয়েছে, সন্তান নেওয়ার অন্তত এক মাস আগে থেকেই প্রতিদিন ফলিক অ্যাসিড বড়ি সেবন শুরু করা উচিত এবং গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস পর্যন্ত তা চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।

ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে গাঢ় সবুজ পাতাওয়ালা শাকসবজি—যেমন পালংশাক, সরিষাশাক, মূলাশাক, ব্রকলি, গাজর, মটরশুঁটি, বিভিন্ন বীজজাতীয় সবজি এবং ফলের মধ্যে রয়েছে পেঁপে, কমলা, আঙুর ও স্ট্রবেরি।

তবে শুধু খাদ্য থেকেই গর্ভাবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ ফলিক অ্যাসিড পাওয়া সবসময় সম্ভব হয় না। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থা গর্ভবতী নারীদের জন্য দৈনিক ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড বড়ি গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকে।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!