করোনার প্রাকৃতিক ভ্যাকসিন ওমিক্রন: ড. বিজন

ড. বিজন কুমার শীল
ড. বিজন কুমার শীল  © টিডিসি ফটো

ওমিক্রনের অধিক মিউটেশনের ফলে আক্রান্তের হার বেড়েছে ঠিকই কিন্তু কমে গেছে এর তীব্রতা। যার ফলে এটি মানুষের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে করোনার এন্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করছে। এ কারণে ওমিক্রন কোভিড মহামারীর অবসান ঘটাতে পারে বলে মনে করছেন বিশিষ্ট অনুজীব বিজ্ঞানী এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে সিঙ্গাপুর থেকে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে এক অনলাইন সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে করোনার বিপর্যয় ঘটলেও সেপ্টেম্বর থেকে করোনা সংক্রমণ একেবারেই কমে যাবে। তখন থেকেই করোনা স্থানীয় ভাইরাসে পরিণত হতে শুরু করবে যা আগামী দুই বছরের জন্য তেমন চিন্তার কারণ হবেনা।

আরও পড়ুন- ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষার্থীদের মূল ফটকে অবস্থান 

ওমিক্রনকে প্রাকৃতিক ভ্যাকসিন আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, অনেকগুলো রূপ পরিবর্তন করে ওমিক্রন দ্রুত সংক্রামক ভাইরাস হিসেবে যেভাবে আবির্ভূত হয়েছে সেভাবে এর তীব্রতার পাশাপাশি সুপ্ত অবস্থাও কমে গেছে। এমন রূপান্তর করোনার অতি ভয়ংকর ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার বিরুদ্ধে উচ্চ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করছে যা করোনার ভয়াবহতা কমাতে সাহায্য করছে। সে হিসেবে আমরা বলতেই পারি ওমিক্রন হলো করোনার প্রাকৃতিক ভ্যাকসিন।

আরও পড়ুন- ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দিলেন তৈমুর

করোনার ভয়াবহতা কমাতে ওমিক্রন আশীর্বাদ হলেও এটাকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে সতর্ক করে দিয়েছেন এ বিজ্ঞানী। এ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, ওমিক্রন ফুসফুসে তেমন ক্ষতি না করায় এটা দ্রুত সুস্থ করতে সাহায্য করছে। যার কারণে অনেকেই এটাকে হালকাভাবে নিচ্ছে। কিন্তু সবাইকে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে ভাইরাসকে কখনো দুর্বল ভাবলে সেটা বড় বোকামি হবে। ভাইরাস জটিল একটা অণুজীব। এটি শরীরেও নানা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে যেকোন মুহুর্তে। তাই ভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বিকল্প নেই।


সর্বশেষ সংবাদ