আমাদের নদীগুলো কি শুধু বর্জ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হবে, প্রশ্ন সড়ক ও সেতু উপদেষ্টার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১১:০৭ AM , আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১১:০৭ AM
যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের পরিবর্তে আমাদের নদীগুলো এখন বর্জ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ রবিবার (১৬ মার্চ) ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।
ফাওজুল কবির খান লিখেছেন, গেল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পায়রায় দুটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেখতে গিয়েছিলাম। দেশের অভ্যন্তরে যাতায়তের ক্ষেত্রে আমার পছন্দ ক্রমানুসারে নিম্নরূপ: (১) নদীপথে; (২) রেলপথে; (৩) বিমানে এবং (৪) সড়কপথে। তাই ঠিক করলাম লঞ্চে পটুয়াখালী হয়ে বাকিটা সড়ক পথে যাব।
তিনি বলেন, আমাকে জানান হলো যে, পটুয়াখালী যাওয়ার ভালো লঞ্চ নেই, সড়কপথে যাওয়া উত্তম হবে। আগে ভালো লঞ্চ ছিল, পদ্মা সেতু হওয়ার পর যাত্রীর অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। আমিও নাছোড়বান্দা, বললাম লঞ্চে বরিশাল হয়ে যাব। যদিও এর ফলে সড়কপথে এক-দেড় ঘণ্টা যাতায়াত বাড়বে। সেভাবেই গেলাম ও ফিরে আসলাম।
এখানেও পদ্মা সেতুর কারণে যাত্রীসংকট উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আমরা যে লঞ্চটিতে ১৫ মার্চ ফিরলাম, তার পরের শিডিউল ১৯ তারিখে। এর মধ্যে অন্য লঞ্চ চলবে। বরিশাল থেকে পায়রা যাওয়া আসার পথে কয়েকটি নদ-নদী পার হলাম। কি সুন্দর এসব নদী, স্থির জল, হালকা হাওয়ায় ছোট ছোট ঢেউ। কিন্তু এসব নদীতে একটিও নৌকা কিংবা জলযান নেই।
আরো পড়ুন: ছাত্রদের ঐক্য এই দেশ গঠন করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
তিনি আরো বলেন, আমাদের সড়ক ও সেতুর বুভুক্ষা কবে শেষ হবে? বর্তমান হারে সেতু ও সড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ অব্যাহত থাকলে, আমাদের সড়ক ও সেতুতেই ফসল আবাদ, শিল্প উৎপাদন করতে হবে। এমনকি ভবিষ্যতে কবরের জন্য জমি পাওয়া দুরূহ হতে পারে।
নদ-নদীগুলোই ছিল প্রকৃতি প্রদত্ত মহাসড়ক উল্লেখ করে ফাওজুল কবির খান বলেন, একসময়, নদীপথে ঢাকার বর্তমান হোটেল সোনারগাঁও থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত যাওয়া যেত। ভাবা যায়! যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের পরিবর্তে আমাদের নদীগুলো এখন বর্জ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে! ঢাকার সদরঘাটে তাই এখন আমাদের নাকে রুমাল চাপা দিয়ে হাঁটতে হয়। এটাই কি আমাদের নিয়তি!