জিপিএ-৫ পেতে চাপ নয়, পরীক্ষার্থীদের মানসিক সাপোর্ট দিন: চঞ্চল চৌধুরী

অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী  © সংগৃহীত

আজ থেকে শুরু হয়েছে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে এবার বিশেষ বার্তা দিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, জিপিএ-৫ পেতে চাপ নয়। পরীক্ষার্থীদের মানসিক সাপোর্ট দিন।

রোববার (৩০ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে ‘এসএসসি পরীক্ষা ২০২৩’। আর এ উপলক্ষেই এসএসসি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি দুটি বার্তা দিয়েছেন চঞ্চল।

মাঝে মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ইস্যুতে সরব থাকেন চঞ্চল চৌধুরী। পরীক্ষা শুরুর পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে এই বার্তা দেন তিনি।

চঞ্চল চৌধুরী প্রথমে লেখেন, আজ ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। আমাদের যে সকল সন্তান এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করছে, তাদের সবার জন্য শুভ কামনা। আর যারা অভিভাবক, তাদের জন্য দুটি কথা।

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, আমরা কেউই মনে হয় এতো ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম না বা এসব পরীক্ষায় এতো ভালো রেজাল্ট করিনি, যাতে সবাই তাদের সন্তানের কাছ থেকে গোল্ডেন জিপিএ আশা করতে পারি। হয়তো অনেক কষ্ট করে, ওদের জন্য চেষ্টা করেছেন। আমাদের সকল সন্তানের মেধা সমান নয়। যে যার মেধা আর চর্চা অনুযায়ী ফলাফল করবে। পারলে ওদের মেধার ওপর আস্থা রেখে, মানসিক ভাবে সাপোর্ট দিন।

কেউ একটি পরীক্ষায় একটু খারাপ করলে, পরের পরীক্ষায় যেন ভালো করতে পারে, সেই সহযোগিতা করুন। দয়া করে একটা কথা মনে রাখবেন- শুধু একাডেমিক ভালো রেজাল্টই শেষ কথা নয়, সেটা দিয়ে পরিপূর্ন মানুষও হওয়া যায় না। বরং সন্তানের আদর্শিক জায়গাটা ঠিক করে দিন, এটা অভিভাবক হিসাবে সবার প্রধান দায়িত্ব। আমার মনে হয়, দেশে মেধাবী মানুষের চেয়ে সৎ মানুষের প্রয়োজন বেশি। 

আরও পড়ুন: প্রশ্ন বিতরণে ভুলভ্রান্তি হতে পারে, তবে প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন,আর আমাদের সন্তানদের বলছি, সারা বছর যাই করে থাকো না কেন, এই কয়েকটা দিন ফাঁকি না দিয়ে মনযোগী হয়ে পরীক্ষাটা দাও। কারণ, সব ভালো তার, শেষ ভালো যার। শুধু বাবা-মায়ের জন্য নয়, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে পড়ালেখার প্রয়োজন আছে, শিক্ষিত হওয়ার দরকার আছে। ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষাটা শেষ করো, দেখবে ভালো কিছুই তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আবারও শুভ কামনা।

আর শেষবারের মত অভিভাবকদের বলছি, পরীক্ষার টেনশনে ওদের মাথা গরম হলেও, আপনি আপনার মাথাটা ঠান্ডা রাখুন। কারণ, গরম মাথায় ভালো কিছু হয়না।

সবশেষে চঞ্চল চৌধুরী বিশেষ দ্রষ্টব্যে ( বি. দ্র.) লেখেন, “দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় ছিলাম তো, তাই একটু মাস্টারি করলাম আর কি!”


সর্বশেষ সংবাদ