মানারাত নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ স্থগিতের নির্দেশ আদালতের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৩, ০৮:০৭ PM , আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৫৯ PM
রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ আগামী ৩ (তিন) মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (২১ আগস্ট) রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি কামরুল কাদের এবং বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। হাইকোর্ট বিভাগের আদেশের ফলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সভা আহ্বানের উক্ত নোটিশের আইনগত কার্যকারিতা আর রইল না।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক-১ শাখার উপসচিব জনাব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি নোটিশের মাধ্যমে মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনার লক্ষ্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে একটি সভা আহ্বান করে।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। যেখানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা সংস্থা, ডিএমপি, সচিবালয়, শিক্ষাবোর্ড, জেলা প্রশাসক, সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এরপর গতকাল ২২ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রজ্ঞাপনে ওই বৈঠক স্থগিতের বিষয়ে জানানো হয়েছে।
মানারাত ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেহেতু মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ একটি রেজিস্ট্রিকৃত ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে পরিচালিত, সুতরাং অন্য কোন কর্তৃপক্ষ এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।
প্রসঙ্গত, মানারাত ট্রাস্ট নামক একটি দাতব্য সংস্থা মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনা করে আসছে ১৯৭৯ সাল থেকে। এরপর একই ট্রাস্ট ১৯৯৫ সালে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং এ লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। ২০০১ সালে ট্রাস্টটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারি অনুমোদন লাভ করে এবং একই বছর বিশ্ববিদ্যালয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
ওই বছরের ২৮ মে ঢাকার গুলশানে ৭৩ জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পাঠ দান কার্যক্রম শুরু করেছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ট্রাস্টি বোর্ডের একাধিক সদস্য জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে গুঞ্জন ছিল শিক্ষা প্রশাসন ও সরকারদের। এরপর গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।