শাবিপ্রবি ছাত্র হত্যায় প্রশাসনের মামলা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২২, ১১:১৭ AM , আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২২, ১১:১৭ AM
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (২৫ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলি করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্লাহ তাহের জানান, সোমবার (২৫ জুলাই) রাতে ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এসএমপির জালালাবাদ থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাডে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলা রেকর্ড করা হয় বলেছে।
লিখিত অভিযোগে রেজিস্ট্রার উল্লেখ করেছেন, সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র বুলবুল আহমদ বন্ধুদের নিয়ে ক্যাম্পাসের গাজীকালুর টিলা নামক স্থানে বেড়াতে গিয়ে একাধিক দুষ্কৃতিকারীর কবলে পড়ে এবং অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে আহত হয়।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে ছুরিকাঘাতে শাবিপ্রবি ছাত্র নিহত— উদ্ধারকারীর বর্ণনা
রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টার ও পরে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার সঙ্গে থাকা অন্য শিক্ষার্থীদের মতে, বুলবুলের বুকের বামপাশে ছুরিকাঘাতে প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয়। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও নির্দেশক্রমে এজাহার দাখিল করা হয়।
এদিকে, শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত পৃথক পৃথকভাবে মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে শুরু হওয়া মিছিলগুলো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা প্রদক্ষিণ করে আবার গোলচত্বরে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে রাত পৌনে ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে আগুন জ্বালিয়ে ঘণ্টাব্যাপী সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অনুরোধে তারা সড়ক থেকে সরে আসেন।
খুনের বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে খুঁজে বের করা হবে।