এসআই হলেন মাভাবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থী 

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

বাংলাদেশ পুলিশের ক্যাডেট ৩৯তম সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) পদে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ৯ শিক্ষার্থী।

গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ পুলিশের প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মোট ৮৭৫ জন প্রার্থীকে এক বছর মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য সুপারিশ করা হয়। তালিকায় মাভাবিপ্রবির ৯ জন শিক্ষার্থীও রয়েছেন।

মাভাবিপ্রবি থেকে এসআই পদে সুপারিশপ্রাপ্ত ৯ জন হলেন, ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগের ইসতিয়াক হাসান অনিক, অভি ইসলাম ও রুবেল আহমেদ, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) বিভাগের এনামুল হক ও রাশেদুজ্জামান রাশেদ, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকিউলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগের মিজানুর রহমান, ফুড টেকনোলজি এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স (এফটিএনএস) বিভাগের কবির হাসান, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (ইএসআরএম) বিভাগের আরিফুল হাসান এবং রসায়ন বিভাগের ফাহিম।

আরও পড়ুন: বুয়েট-ঢাবি-মেডিকেলে চান্স পেলেন একই কলেজের ৮৬ জন

এসআই পদে সুপারিশপ্রাপ্ত সিপিএস বিভাগের শিক্ষার্থী রুবেল আহমেদ তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, এবারের এসআই নিয়োগ পরীক্ষা অনেক সময় এবং অনেক ধাপ পেরিয়ে কাঙ্খিত ফলাফলে পৌঁছেছে। যার কারণে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়েছে। তাই খুশির সীমাও অনেক বেশি। তাছাড়া আমি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি এলাকাবাসীও অত্যন্ত খুশি। অনেকে বাসায় এসে খোঁজ খবর নিতে আসছে, অভিনন্দন জানাতে আসছে। আমার বাবা বাজারে গেলে সবাই এসে অন্যরকম সমাদর করছে।

আরেক প্রার্থী বিএমবি বিভাগের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক খুশি। এটা আমার জীবনে পাওয়া প্রথম চাকরি। বেকারত্বের অভিশাপ লাগার আগেই চাকরিটা হয়ে গেছে। বর্তমান সময়ে পুলিশের এসআই পদে জব পাওয়াটা অনেকের স্বপ্ন থাকে। আর নতুন নিয়মে অনেকগুলো ধাপ (স্ক্রিনিং, ফিল্ড়ের ৭ টা ইভেন্ট, রিটেন, কম্পিউটার টেস্ট, ভাইভা, মেডিকেল) পারি দিয়ে চাকরি পাওয়াটা পরিশ্রমের পাশাপাশি সৌভাগ্যের। প্রতিটি ধাপে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে পরিশ্রম করলে আল্লাহ নিরাশ করবেন না। আমার কাছে এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়াও খুবই স্বচ্ছ মনে হয়েছে। মাত্র ৫০ টাকা দিয়ে আবেদন করেছি শুধু।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাফল্যের বিষয়ে মাভাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘অবশ্যই শিক্ষার্থীদের সাফল্যে আমি অনেক আনন্দিত। আমি চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা সকল ক্ষেত্রে সাফল্য মণ্ডিত হোক। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বাড়ুক। এছাড়া চাকরি প্রত্যাশি অন্যান্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আমি বলবো, প্রচেষ্টায় সফলতা আসে। সেই সাথে  সফলতা পেতে প্রচেষ্টার পাশাপাশি অধ্যাবসায়ের কোনো বিকল্প নেই। মূল বিষয়ে পড়াশোনা করতে হবে, এর বাইরে অন্য দিকে ধ্যান দিলে কিছু হয়না। তাই একদিকে মন দিয়ে পড়াশোনা করে যেতে হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ