বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ১০ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২২, ১১:১১ AM , আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২২, ০১:৩২ PM
করোনাকালীন পড়াশোনার ক্ষতি থেকে উত্তরণ ও ক্লাস-পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে চলমান আন্দোলন স্থগিত করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রোববার (৬ মার্চ) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, আমাদের ১ম দাবি ছিল ধর্ষকদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনা। আমাদের ১ম দাবি ইতোমধ্যেই মানা হয়েছে। ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি।
তারা জানায়, আমাদের আরও দাবি হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি'র সাথে ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে এবং শেখ ফজলুল করিম সেলিম অসুস্থতার কারণে দেশের বাহিরে অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হলে পচা মাছ ভর্তা বিক্রি
শিক্ষার্থীরা জানায়, যেহেতু আমাদের নিরাপত্তার দাবি তাদেরকে কেন্দ্র করে, শেখ ফজলুল করিম সেলিম দেশে না ফেরা পর্যন্ত আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে। তিনি সম্ভবত ৮ মার্চ দেশে ফিরবেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে আমাদের দাবি নিয়ে ১০ মার্চ আলোচনা হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী করোনাকালীন লেখাপড়ার ক্ষতির কথা বিবেচনায় আগামী ৫ দিন অর্থাৎ ১০ মার্চ পর্যন্ত আমরা কোন কর্মসূচি রাখছি না। শিডিউল অনুযায়ী যে যে বিভাগে যখন পরীক্ষা আছে তখনই সেগুলো হবে। তবে ১০ মার্চের পরে গিয়ে ব্যাপারে যদি কোন অগ্রগতি না হয়, তাহলেও পরীক্ষা চলমান থাকবে। পরীক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলনকে তরান্বিত করা হবে।
হুঁশিয়ারি দিয়ে শিক্ষার্থীরা জানায়, যতদিন পর্যন্ত আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও হামলাকারীদের বিচারের ব্যবস্থা না করা হয়, ততদিন আন্দোলন চলবে।
আরও পড়ুন: কর্মচারীর মেয়ের বিয়েতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস
এর আগে, দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষকদের ওপর আস্থা ও ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে চলমান আন্দোলন স্থগিত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। ৭২ ঘণ্টা পর নতুন করে ১০ মার্চ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলায় আটককৃত ছয় আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কারাগারে পাঠায় আদালত। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে টানা আন্দোলন করছে।