উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মিছিল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:৪৫ PM , আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:১৫ PM
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে ফের বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের মিছিল গোলচত্বর থেকে শুরু হয়ে উপাচার্যের বাসভবন, আইআইসিটি ভবন, প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন 'ই' হয়ে পুনরায় গোলচত্বরে এসে শেষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। শিক্ষার্থীদের মিছিলে নানা প্রতিবাদী লেখা, আন্দোলনের ছবি, ব্যঙ্গচিত্র-সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়। মিছিলে শিক্ষার্থীরা শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন: ফেসবুক-ইউটিউব নিয়ন্ত্রণে নয়া উদ্যোগ, স্বাধীনতা আরো খর্ব হবে না তো?
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের আন্দোলন অব্যাহত আছে, থাকবে। ভিসি ফরিদ উদ্দিনকে না হটানো পর্যন্ত এ আন্দোলনের শেষ হবে না। তারা বলেন, প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনশন ভাঙানোর অর্ধমাস পেরিয়ে যাচ্ছে, এখনো আমাদের সকল দাবি মেনে নেওয়ার দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
এর আগে, গত ১৩ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। এদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের ছাত্রীরা।
আরও পড়ুন: কর্ণাটক হাইকোর্টেও সুরাহা হলো না হিজাব বিতর্ক
পরে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালায়। পরদিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে তাদের উপর লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে পুলিশ। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। তা উপেক্ষা করেই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলমান রাখেন শিক্ষার্থীরা। ১৯ জানুয়ারি দুপুর ২টা ৫০ মিনিট থেকে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন।
২৬ জানুয়ারি ভোর চারটার দিকে স্ত্রী ড. ইয়াসমিন হককে নিয়ে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে পৌঁছান কথাসাহিত্যিক ড. মোহাম্মদ জাফর ইকবাল। 'উচ্চ পর্যায়ে' আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে দাবিপূরণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন বলে আশ্বস্ত করেন শিক্ষার্থীদের। সেই প্রতিশ্রুতির ওপর ভিত্তি করেই শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে রাজি করান।