প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শাবিপ্রবিতে এবার খাবারের দোকান বন্ধ

অনশনরত শিক্ষার্থী
অনশনরত শিক্ষার্থী  © ফাইল ফটো

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) এবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খাবারের দোকান। এর আগে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে যায়। 

দেখা যায়, হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডের পাশের তিনটি ফুডকোর্ট এবং পরিবহন গ্যারেজের পাশের টং দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে। 

জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি খাবার দোকানের মালিক বলেন, প্রক্টরিয়াল বডির পক্ষ থেকে আমাদের দোকান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। আন্দোলন যতদিন চলবে ততদিন এসব বন্ধ থাকবে বলে তারা জানিয়েছেন। 

তবে প্রক্টর অধ্যাপক ড. আলমগীর কবির বলেন, আমি আসলে এ বিষয়ে কিছু জানি না। 

আরও পড়ুনঃ অনশন ভাঙার সিদ্ধান্ত আসছে রাতে, আন্দোলন চলবে

রোববার রাত আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কয়েকটি মোবাইল অ্যাকাউন্ট কাজ করছে না। সোমবার সকাল থেকে খাবার দোকানও বন্ধ রয়েছে বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীরা জানান, নিজস্ব আয়োজনে রান্না করে করে রাতের বেলা সবাই একসঙ্গে খান। দিনের বেলা ফুডকোর্টের এসব দোকানই ছিল ভরসা। এখানে সিঙ্গাড়া, খিচুড়ি, চাসহ হালকা নাশতার ব্যবস্থা ছিল। এখন আন্দোলন দমাতে সেগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হলো। 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী নাফিসা আঞ্জুম বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের দোকানগুলো বন্ধ দেখা যায়। দোকানদাররা প্রশাসনের নির্দেশনার কারণ দেখিয়ে দোকান খুলছেন না। আমাদের ধারণা চলমান আন্দোলন বন্ধ করার জন্য দোকানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ আন্দোলনের শুরু থেকে শিক্ষার্থীসহ গণমাধ্যমকর্মীরা এ দোকানগুলো থেকে নিয়মিত খাবার গ্রহণ করতেন।  

শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই খাবারের দোকানগুলো মধ্য রাত পর্যন্ত খোলা থাকত কিন্তু মঙ্গলবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ রয়েছে। 


সর্বশেষ সংবাদ