আমরা দাবি আদায় না করে ক্ষান্ত হব না: বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য এ কিউ এম মাহবুব বলেন, আমাদের সকল কাজ ফেলে এখানে দাঁড়ানোর কথা ছিল না। কিন্তু আমরা বাধ্য হয়েছি। ঘোনাপাড়ার এই মোড়ের যে ট্রাফিক নিয়ম থাকার কথা ছিল, প্রশাসন তা সঠিকভাবে স্থাপন করেনি বলে এত দুর্ঘটনা। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি তারা যে দ্রুত সময়ের মধ্যে এসকল সমস্যার সমাধান করে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্ষান্ত হব না, প্রয়োজনে আমরা আবারও রাস্তায় নামব।

বশেমুরবিপ্রবি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম শুভ নিহত হওয়ার ঘটনায় দোষী ড্রাইভার, হেলপার এবং পরিবহন মালিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ এসব বলেন তিনি।

আরও পড়ুন: ‘জগন্নাথ হল ট্রাজেডি’র শঙ্কা ঢাবির আরেকটি হলে

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়ায় এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য, প্রক্টরসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আঞ্জুমান আরা বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন এবং মৃত্যুবরণও করেছেন। রাইসুলই যেন দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া শেষ শিক্ষার্থী হয় সে বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ আশা করছি। আমরা একটি নিরাপদ সড়ক চাই। আমাদের কোনো দাবিই অযৌক্তিক নয়। সুতরাং সন্ধ্যা ৬ টার মিটিংয়ে আমাদের দাবিগুলো মানা এবং দ্রুত বাস্তবায়ন করা না হলে আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

আরও পড়ুন: ঢাকায় আরও একজনের ওমিক্রন শনাক্ত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমান বলেন, গতকালের সড়ক দুর্ঘটনায় আমি অত্যন্ত নির্বাক। আমরা রাইসুল ইসলাম শুভর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ঘটনাটি ঘটে গেছে কিন্তু এরকম ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে আমাদের সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের দাবিগুলো অবশ্যই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আদায় করবো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছে। আমরা রোড ও হাইওয়ে বিভাগের সাথে যোগাযোগ করছি। তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

এর আগে, সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঘোনাপাড়া এলাকায় দোলা পরিবহন যাত্রীবাহী ভ্যানকে চাপা দেয়। এই দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শুভ ও ভ্যানচালক মারা যায়। এর প্রতিবাদে দুপুর ৩ টা থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে ঘাতক ড্রাইভারের জনসম্মুখে বিচার এবং নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদাণ সহ নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে ৬ দফা দাবি জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: যবিপ্রবির বাসে স্থানীয় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে হামলা, আহত ৩

পরবর্তীতে বিকেল সাড়ে ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, উপাচার্য, গোপালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ আলোচনার মাধ্যমে অবরোধ প্রত্যাহার করানোর চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা ১৮ ঘন্টার সময়সীমা প্রদান করেন। কিন্তু গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ঢাকায় অবস্থান করায় সময়সীমা ৬ ঘন্টা বৃদ্ধি করা হয় এবং 


সর্বশেষ সংবাদ