গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন  © সংগৃহীত

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সেকশন অফিসার পদে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ দেওয়ায় সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুদকের সহকারী পরিচালক রিজন কুমার রায় বাদী হয়ে এ মামলা করেন। (মামলা নং-৮, তাং-২.০৩.২০২৫)

মামলার আসামিরা হলেন গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন, অধ্যাপক ড. মোশাররফ আলী, অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল মান্নান ও সেকশন অফিসার শারমিন চৌধুরী।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালের ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্মারক নং-৭৬৩-তে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সেকশন অফিসারের ১৬টি পদসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ১৬টি শূন্য পদের স্থলে শারমিন চৌধুরীসহ ২০ জনকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষায় শীর্ষ তিনজনই মেয়ে

ওই পদে ৮৭০ জন আবেদকারীর ডাটা শিটে তৎকালীন ভিসি ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের স্বাক্ষর রয়েছে। ওই তালিকায় আসামি শারমিন চৌধুরীর নাম নেই। তা ছাড়া নিয়োগ কমিটির সুপারিশ তালিকার ৮৭৩ নম্বর ক্রমিকে শারমিন চৌধুরীকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হলেও বাস্তবে ৮৭৩ নম্বর ক্রমিক ডাটা মিটে নাই। অর্থাৎ আবেদন তালিকায় না থাকার পরও জালজালিয়াতি করে শারমিন চৌধুরীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখে প্রার্থীর বয়স ৩২ বছর হওয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে শারমিন চৌধুরীর বয়স ৩২ বছরের বেশি ছিল। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আসামী শারমিন চৌধুরীর বয়স ৩২ বছরের স্থলে ৩৩ বছর ৩ মাস থাকার পরও বে-আইনিভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ১৬টি শূন্য পদের স্থলে ২০ জনকে নিয়োগ ও ডাটা মিটে নাম না থাকার পরও নিয়োগ দিয়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: নামাজের ইমামতি করলেন রাবিপ্রবি উপাচার্য

দুদক জানায়, তুহিন মাহমুদের বিষয়ে প্রকাশ্য অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এ ছাড়া অপর অভিযোগ নজরুল ইসলাম হীরার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অনুসন্ধান দুদক প্রধান কার্যালয়ে প্রক্রিয়াধীন।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জানুয়ারি বিভিন্ন অনিয়ম ও অভিযোগের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি দল। এ অভিযানে অনিয়মের সত্যতা পায় দুদক।


সর্বশেষ সংবাদ