জাবিপ্রবি ছাত্রদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

  © সংগৃহীত

জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় টিম কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি গঠনের লক্ষে সদস্য ফরম বিতরন ও কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী)  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে একটি দোকানে এ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) আহ্বান করা হয়। এতে সভাপতি পদে ৫ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৪ জন প্রার্থী হন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মতামত শোনা এবং আগ্রহী সদস্যদের মাঝে সদস্য ফরম বিতরণ করা হয়। পরে ফরম পূরণ করে জমা দেওয়া হয়। এ কর্মী সভার সভাপতিত্ব করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম রনি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাবিপ্রবি ছাত্রদলের পদ প্রত্যাশি ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।

কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ এর সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান সোহান বক্তব্যে ক্যাম্পাসের ভেতরে কর্মী সভার প্রোগ্রাম করতে না পারায় কর্মীদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "আগে আসলেও ভেতরে নিতে পারেন নাই। এবারও পারেন নাই। সেবার আমরা জোর করে গিয়েছি। এবার আপনাদের উপর ছেড়ে দিয়েছি কিন্তু নিতে পারেন নাই। আপনারা সবাই ব্যর্থ হয়েছেন। এ ব্যর্থতার দায় সবার। এই ব্যর্থতা সফলতায় রূপ দিতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা তৈরি করতে হবে।"  

এ সময় তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, "আগে যেভাবে মত প্রকাশ করলে তাড়িয়ে দেওয়া হতো, এখনো তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সেটা ভিন্ন কৌশলে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাম ব্যবহার করে যারা আপনাদের রাজনৈতিক চর্চা করতে ব্যর্থ করেছে। তাদের কি এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য না? তারা তাদের পরিচয় গোপন রেখে আপনাদের রাজনৈতিক চর্চায় বাধাগ্রস্ত করছে। তারা কারা? ইসলামী ছাত্রশিবির। সরাসরি বলবেন। স্বাধীন বাংলাদেশ, বুক উঁচু করে বলবেন।"

প্রথমবার যখন জাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা এসেছিলেন তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় তাদের প্রবেশে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়। তাদের উদ্দেশ্যে অভিযোগ তুলে প্রধান বক্তার বক্তব্যে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নাকিবুল ইসলাম চৌধুরী বলেন "আমরা এর আগে এসে মবের শিকার হয়েছি।"

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় এ নেতারা জানান, "ছাত্রলীগ পুনর্বাসন করেছে বা পূর্বে ছাত্রলীগের যুক্ত ছিল বা তাদের দোসর হিসেবে কাজ করেছে এমন কেউই কমিটিতে স্থান পাবে না। কমিটিতে স্থান পাওয়ার পরও যদি এমন প্রমাণ পাওয়া যায় বা ছাত্রলীগ নিয়ে কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।"


সর্বশেষ সংবাদ