বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্যের আয়োজনে ঢাকা ক্লাবে ভিসি সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত 

ভিসি সন্ধ্যায় সকল উপাচার্যগণ
ভিসি সন্ধ্যায় সকল উপাচার্যগণ  © টিডিসি ফটো

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষক ও ঐতিহ্যবাহী ঢাকা ক্লাবের মেম্বার অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ভিসি সন্ধ্যা।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা ক্লাবের সিনহা লাউঞ্জে এই প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।

পুরোনো বন্ধু ও সিনিয়র-জুনিয়রদের কাছে পেয়ে কেউ ব্যস্ত কুশল বিনিময়ে, কেউবা একে অন্যকে বুকে জড়িয়ে ধরছেন। কেউ খুলেছেন গল্পের ঝাঁপি। আবার কেউ কেউ ব্যস্ত ছিলেন ছবি তুলতে। কর্মব্যস্ততা ভুলে তারা সবাই মগ্ন হয়েছিলেন আড্ডায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন উপাচার্য, একজন উপ উপাচার্যসহ দেশ বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।

আলোচনার শুরুতে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক হোসেন উদ্দিন শেখর উপস্থিত অতিথিদের পরস্পরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছি। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কাজের পাহাড়ে চাপা পড়ে আছি। সেই ক্লান্তি থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে এবং সবার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।’

এরপর একে একে তিনি পরিচয় করিয়ে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য  অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক  মুহাম্মদ ইসমাইল, জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবদুল মজিদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শওকত আলী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) উপাচার্য অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমানকে।

অতিথিরা এরকম একটা আলোচনার  আয়োজন করার জন্য অধ্যাপক শেখরকে ধন্যবাদ জানান এবং তার সাথে তাদের দীর্ঘ পরিচয় পর্বের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় ক্যাম্পাস ও হলের আড্ডা, পরবর্তীতে দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনের নানা গল্পও তাতে উঠে আসে। আর তাই তো বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে ভালোবাসা বিনিময় করতে কর্মব্যস্ত জীবনে ছুটির দিনে বিশ্রাম না নিয়ে তারা অধ্যাপক শেখরের ডাকে সাড়া দিয়ে বন্ধুত্বের টানে ছুটে আসেন ঢাকা ক্লাবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকাকালীন সময়ে বিজ্ঞান গ্রন্থাগারে আড্ডা দিতে গিয়ে শেখর ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং এরপর দীর্ঘ কয়েক দশক কেটে গেছে আমাদের বন্ধুত্বের। দিনে দিনে আমাদের জমেছে স্মৃতি, সমৃদ্ধ হয়েছে অভিজ্ঞতার ঝুড়ি।’

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান বলেন, ‘একই মঞ্চে বা আলোচনায় একসাথে এত উপাচার্য আগে কখনো উপস্থিত ছিলেন বলে আমার জানা নেই।’ এরপর তিনি একটি কবিতাও আবৃত্তি করেন।

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। এরকম আলোচনা আমাদের পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ দৃঢ় করে, অভিজ্ঞতা বিনিময় সহজতর করে।’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য  অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বয়সে আমি শেখরসহ এখানে যারা উপস্থিত আছেন তাদের অনেকের চেয়ে একটু সিনিয়র। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের সহকর্মী, এখন উপাচার্য হিসেবে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছি। আজকের এই আলোচনা  আমাদের পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগ এর কথা জানান দেয়।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কানাডায় বাংলাদেশের এম্বাসির কাউন্সিলর ড. জামিল, এনবিআর এর সদস্য এম এম ফজলুল হক আরিফ, কুমিল্লার কর কমিশনার শেখ মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ