বুটেক্সে সীরাত আলোচনা এবং ইসলামি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

বুটেক্সে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে সীরাত আলোচনা এবং ইসলামি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
বুটেক্সে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে সীরাত আলোচনা এবং ইসলামি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে সীরাত আলোচনা এবং ইসলামি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বুটেক্সের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় অনুষ্ঠানটি। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোখতার আহমাদ। বিশেষ অতিধিবৃন্দের মধ্যে ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি ও শিল্পী এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষক মাহবুবুর রহমান, আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সংস্থার (ইক্বরা) সদস্য হাফেজ কারি ইঞ্জি.আশেক বিল্লাহ এবং বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের নিয়মিত শিল্পী মিছবাহ বিন বাশার। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন বুটেক্সের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান। 

সীরাত আলোচনা-২০২৪ অনুষ্ঠানটির সূচনা হয় বিকেল ৫ ঘটিকায় কুরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে। এরপর বিকেল ৫:৩০ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হয় হামদ-নাত পরিবেশনা। অতঃপর সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় সীরাত আলোচনা শুরু হয় যেখানে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি অধ্যাপক মোখতার আহমাদ।

সীরাত আলোচনায় অধ্যাপক মোখতার আহমেদ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনী নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, মানব জাতির মুক্তির দূত হিসেবে মহান আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে প্রেরণ করেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে। তাঁর জীবন মানব জাতির মুক্তির জন্য আদর্শ। তিনি দুনিয়ার বুকে ইসলামকে প্রতিষ্ঠান জন্য অত্যন্ত কষ্ট এবং ত্যাগ স্বীকার করেছেন। দুনিয়া এবং আখিরাতের সফলতার জন্য আমাদের হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনী অনুসরণ করা আবশ্যিক। চ

হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স বিভাগের প্রভাষক ইসহান ইলাহী সাবিক বলেন, আয়োজনটি বেশ গোছানো ছিল। ছাত্ররা আগ্রহের সাথে কাজ করেছে। এ ধরনের আয়োজন নিয়মিতভাবে করা খুব প্রয়োজন। বর্তমানে বুদ্ধিভিত্তিক সমাজে চিন্তাশীলতার জায়গায় একটা শূন্যতা বা অপূর্ণতা তৈরি হয়েছে। ইসলামের সমৃদ্ধ জ্ঞান, ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে এই শূন্যতা বহুলাংশে পূরণ হবে এবং তরুণদের চিন্তাশীলতা কে শানিত করবে।

টেক্সটাইল মেশিনারিজ ডিজাইন অ্যান্ড মেইনটেইনেন্স বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আবদুল মুনাফ বলেন, দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল একজন মুসলমান হিসেবে ভার্সিটিতে এমন একটা প্রোগ্রাম উপভোগ করার। আলহামদুলিল্লাহ আজকে সেই আশা পূর্ণ হলো। এমন প্রোগ্রাম আমি বুটেক্সে আগে কখনো দেখিনি। বক্তারা যখন রাসূল (সা.) এর জীবনী নিয়ে বলছিলেন তখন মহানবী (সা.) মনে হচ্ছিল মনের মাঝে ভেসে উঠতে শুরু করে। মনে হচ্ছিল মহানবী (সা.) এর অবয়ব আমার সামনে। 

সমাপনী বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সভাপতি উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ আলিমুজ্জামান বলেন, আমি বুটেক্সে এ ধরনের অনুষ্ঠান খুব কম দেখেছি। যিনি এত ত্যাগ স্বীকার করে দুনিয়ার বুকে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছেন সকলের উচিত সেই মহামানব মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর সীরাত সম্পর্কে জানা এবং তার জীবনী অনুসরণ করা। ভবিষ্যতে যাতে এধরণের অনুষ্ঠান আরও আয়োজন করা হয় সেই আশা ব্যক্ত করছি।


সর্বশেষ সংবাদ