বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চাওয়ায় হত্যার হুমকি পাচ্ছেন, দাবি ৬ শিক্ষার্থীর

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চাওয়ায় হত্যার হুমকি পাচ্ছেন, দাবি ৬ শিক্ষার্থীর
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চাওয়ায় হত্যার হুমকি পাচ্ছেন, দাবি ৬ শিক্ষার্থীর  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েটে) সকল প্রকার প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতি চেয়ে অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগপন্থী ছয় শিক্ষার্থী হত্যার হুমকি পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। ‘হিযবুত তাহরীর ও ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে’ কথা বলায় এই হুমকি দেওয়া হচ্ছে দাবি করে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।

উপাচার্যের কাছে অভিযোগ জানানোর পর বিকালে বুয়েটের ড. এম এ রশীদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা সংবাদ সম্মেলন আসেন। এ সময় সেখানে ছয়জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন- ক্যামিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটারিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আশিক আলম, সাগর বিশ্বাস, অরিত্র ঘোষ এবং ২১ ব্যাচের অর্ঘ দাস, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর স্বপ্নীল ও বিষ্ণুদত্ত চাঁদ।

সংবাদ সম্মেলনে আশিক আলম বলেন, প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির পক্ষে এর আগে সংবাদ সম্মেলন করার পর থেকে আমরা নানা ধরনের বুলিংয়ের শিকার। ফেসবুক গ্রুপে আমাদেরকে নানাভাবে ছবিসহ হেনস্থা করা হচ্ছে। আমাদের বাসায় ফোন যাচ্ছে এবং হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায়। এজন্য আমরা মাননীয় উপাচার্য বরাবর অভিযোগ পত্র দিয়েছি সকল প্রকার প্রমাণসহ যাতে এ ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত হয়।

আরও পড়ুন: বুয়েটের নিয়মিত ৯৭ ভাগ শিক্ষার্থী ছাত্ররাজনীতি চান ‘না

কারা বুলিং করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাঁশের কেল্লা, খেলাফতসহ কয়েকটি নিষিদ্ধ টেলিগ্রাম গ্রুপ চালানো হয় এবং সেখানে আমাদের ছবিসহ দেওয়া হয় যার স্ক্রিনশট আমরা উপাচার্য স্যারকে দিয়েছি। এখানে হিজবুত তাহরীরের মত নিষিদ্ধ সংগঠন রয়েছে যারা আমাদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালায়। যাদের একমাত্র উদ্দেশ্য খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা। তারাই মূলত সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে আমাদের বিরুদ্ধে যেতে বাধ্য করছে এবং নানা ভাবে প্ররোচিত করছে।

নানাভাবে হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়ে আশিক বলেন, আমাদেরকে পাবলিকলি এবং ব্যক্তিগতভাবেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যারা আমাদেরকে এই হুমকি দিচ্ছে, তাদের নামগুলো উপাচার্য স্যারের কাছে দেওয়া লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছি। আমাদের পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে বলা হচ্ছে, ‘আপনার সন্তানকে দেখে রাখুন, নয়তো পরে পাবেন না’। এই কথাগুলোর মানে কী। এসব কিছু করা হচ্ছে কারণ আমরা হিযবুত তাহরীর এবং শিবিরের রাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলছি।

এসময় অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, ছাত্রলীগসহ সকল প্রকার প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতি ক্যাম্পাসে থাক সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এখানে ছাত্রদল বা অন্যান্য সংগঠনের কমিটি দিলেও আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা শুধু চাই এখানে কোনো অন্ধকার রাজনীতি না থাকুক।


সর্বশেষ সংবাদ