প্রকৌশলী হিমু হত্যার বিচার দাবিতে মনববন্ধন

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রকৌশলী আসিফ হত্যার বিচারের দাবিতে বস্ত্র প্রকৌশলীদের মাননবন্ধন
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রকৌশলী আসিফ হত্যার বিচারের দাবিতে বস্ত্র প্রকৌশলীদের মাননবন্ধন  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) সাবেক শিক্ষার্থী ও নবীন প্রকৌশলী আসিফ করিম হিমু(২৮) হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে বস্ত্র প্রকৌশলীরা। মানববন্ধন শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁরা।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকাল ১০ টার সময় ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড টেকনোলজিস্ট (আইটিইটি) ও ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইইবি) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন এ আয়োজন করে। মানববন্ধনে বস্ত্র প্রকৌশলীদের একটি বড় অংশ এতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকবৃন্দদের অংশ নিতে দেখা যায়। 

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন ‘দি ইন্সটিটিউশন অব টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ার্স এন্ড টেকনোলজিষ্ট (আইটিইটি)’ এর সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান বলেন, দেশে প্রকৌশলীরা এখন আর নিরাপদ নন। একটি মহল এমন বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাইছে। এর অংশ হিসেবে হিমুকে হত্যা করা হয়েছে। যদি এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার না হয়, তাহলে দেশের পোশাকশিল্প খাত হুমকির মুখে পড়তে পারে। হিমু হত্যার বিচারের দাবিতে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রশাসনের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট স্মারকলিপি পেশ করব। যদি তাতেও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না হয় তবে আগামী ২৬ জুলাই আমরা হিমুর হত্যাকাণ্ড ঘটানো স্থানে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।

আর পড়ুন: জাতীয়করণের দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের অবস্থান

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামান বলেন, একজন শিক্ষার্থীর পেছনে রাষ্ট্র বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে, আর সেই শিক্ষার্থীর যখন রাষ্ট্রকে কিছু দেওয়ার পালা, তখন তাঁকে হত্যা করা হলো।

তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা আমাদের শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে। কুচক্রী মহল যারা চায় না বাংলাদেশে বস্ত্রশিল্প ওপরে উঠুক, পরিকল্পনা করে তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছি।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন রেঁনেসা এ্যাপারেল লিমিটেড সংলগ্ন হোতাপাড়া এলাকায় স্থানীয় ইন্টারনেট সরবরাহকারীর সাথে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে ওইদিন বিকালে তার কর্মস্থলে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা করে।

হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য গ্রীন লাইফ হাসপাতালে নেওয়া হলে ৩০ জুন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।

উক্ত ঘটনায় গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় যথোপযুক্ত প্রমাণ সহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে গত ২৭ই জুন ১৪৩,৩৪১,৩২৩,৩২৬, ৩০৭, ৩০২,৫০৬(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা গেলেও এখন পর্যন্ত বাকি ৩ জন আসামি পলাতক রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ