গ্রীন এনার্জিতে প্রবেশ করছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের অংশ হিসেবে ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গ্রীন এনার্জিতে প্রবেশ করছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। এ লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুন) যবিপ্রবি ও সুপারস্টার রিনিউয়েবল এনার্জি লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। 

চুক্তি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর মাধ্যমে দৈনিক প্রায় ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে কোম্পানিটি। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় শতভাগ পূরণ করবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডের সাথে। চুক্তির ফলে প্রচলিত দামের চেয়ে ২৬.৬ শতাংশ সাশ্রয়ে বিদ্যুৎ ক্রয় করতে পারবে যবিপ্রবি। সবুজ অর্থনীতি তথা পরিবেশের বিপর্যয় রক্ষার অংশ হিসেবে গ্রীন এনার্জির আওতাভুক্ত হচ্ছে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ইঞ্জি. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা ৭০০ থেকে ৮০০ কিলোওয়াট এবং সক্ষমতা ৩৬৫০ কেভিএ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ভবন চালু হওয়ার পরে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে ২ হাজার কিলোওয়াট। সোলার প্যানেল লাগানোর পরে ২৬.৬ শতাংশ পরিমাণ অর্থ আমাদের সাশ্রয় হবে। প্রায় ১.৫ লক্ষ বর্গফুট পরিমাণ জায়গায় বসানো হবে এ সোলার প্যানেল। এতে প্রতি বর্গফুট জায়গার জন্য মাসে ২ টাকা হারে ভাড়া পাবে বিশ্ববিদ্যালয়।

এ বিষয়ে সুপারস্টার রিনিউএবল এনার্জি লিমিটেড এর চিফ অপারেটিং অফিসার প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন অনুসারে এই রিনিউএবল এনার্জি পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকা সাপেক্ষে জাতীয় গ্রীডেও এই বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে।

আরও পড়ুন: ফল ভালো না হওয়ায় নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা 

যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে যবিপ্রবির পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো আনিসুর রহমান ও সুপারস্টার রিনিউয়েবল এনার্জি লিমিটেড এর পক্ষে স্বাক্ষর করেন কোম্পানির চিফ অপারেটিং অফিসার প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান।

এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.  মো. আনোয়ার হোসেন বলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পরেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা বাস্তবায়নের পরিপ্রেক্ষিতে যবিপ্রবিকে গ্রীন এনার্জির আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করি। দীর্ঘ সময়ের প্রচেষ্টায় দেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম অন্তর্ভুক্ত হলো যবিপ্রবি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ এর যেমন চাহিদা পূরণ হবে অপরদিকে পরিবেশরক্ষাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে সবুজ অর্থনীতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে তারই প্রমাণস্বরূপ যবিপ্রবির গ্রীন এনার্জির অন্তর্ভুক্ত হওয়া।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রিজেন্ট বোর্ড সদস্য ও ডিন’স কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ইঞ্জি. ইমরান খান ও যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমুখ।

The Daily Campus এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন