১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা করেছিলেন শেখ হাসিনা: শিক্ষামন্ত্রী

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন ও নবীন-বরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন ও নবীন-বরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি  © টিডিসি ফটো

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একটা সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি থেকে আমরা অনেক দূরে সরে গিয়েছিলাম। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করবে। এখন দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে এই বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। বিশ্ববিদ্যালয় যেনো কংক্রিটের বিল্ডিং সীমাবদ্ধ না থাকে।

আজ শনিবার (২০ মে) দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) শিক্ষা কার্যক্রম উদ্বোধন ও নবীন-বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরুর মধ্য দিয়ে আজ আমার স্বপ্নপূরণ হয়েছে। ৩টি বিভাগে অনেক স্বপ্ন নিয়ে ৯০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু হলো চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের। 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু-কন্যা একটি জ্ঞান-ভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করছেন। শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা গুণমান অর্জন করতে চাই। আমরা আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম চালু করেছি। পৃথিবীতে এখন প্রতিযোগিতার চাইতে সহযোগিতার মনোভাব বেশি তৈরি হচ্ছে। আমাদের প্রাচীন শিক্ষা পদ্ধতিগুলো ফিরিয়ে আনতে হবে। পৃথিবী খুব দ্রুত পাল্টাচ্ছে। নতুন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে তৈরি করতে হবে। আইসিটি না জানলে নিরক্ষর হতে হবে। ভাষা, গণিত ও আইসিটি না জানলে নিরক্ষর হিসেবে গণ্য হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামছুল আলম। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে থেকে আমরা কারিগরি ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষা কে অনেক উন্নত করেছি। দেশ মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আমরা ভারত, পাকিস্তান কে পিছনে ফেলেছি মাথাপিছু আয়ে আর শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকার ব্যয় বাড়িয়েছি। আর নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের দক্ষিণ এশিয়া অনেক এগিয়েছি। শিক্ষার মান উন্নয়ন আমরা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের গুরুত্ব দিয়েছি—বলেন তিনি।

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাসিম আখতারে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজ বেগম, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার), চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, ২১শে পদক প্রাপ্ত প্রফেসর গোতম বুদ্ধ, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) কাউন্সিল সদস্য ড. সোহেলী আক্তার, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মেজর মো. আবদুল হাই।