৮ দাবিতে নোবিপ্রবি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি

৮ দাবিতে নোবিপ্রবি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি
৮ দাবিতে নোবিপ্রবি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি  © টিডিসি ফটো

রেজিস্টার নিয়োগ, কর্মচারীদের সমিতির অনুমোদনসহ ৮ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারী) বিশ্বিবদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। আগামী ৩ দিনের মধ্যে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সময় বেধে দিয়েছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, আজকে আমাদের অফিসে থাকার কথা ছিল। কিন্তু আমরা আমাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য এখানে একত্রিত হয়েছি। আমরা বাধ্য হয়ে আজকে কর্মবিরতি দিয়ে এখানে অবস্থান নিয়েছি। দ্রুত আমর আমাদের দাবিগুলোর বাস্তবায়ন চাচ্ছি।

তাদের দাবিগুলো হলো- আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে বর্তমান রেজিস্টারের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদ হতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অব্যাহতি প্রদান; যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রেজিস্টার নিয়োগ; কর্মচারীদের সমিতির অনুমোদন প্রদান; আগামী ৭ দিনের মধ্যে মাস্টাররোল ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কর্মচারীদের স্থায়ী করন এবং স্থায়ীকৃতদের পদোন্নতি দেওয়া; আগামী ১ মাসের মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নয়ন নীতিমালা সংশোধন করা এবং আপগ্রেডেশনসহ টেকনিক্যাল/নন-টেকনিক্যাল পদে নীতিমালা সংশোধন করা।

আরও পড়ুন: ২২ বছর পর প্রথম বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করল পবিপ্রবি

আগামী ৭ দিনের মধ্যে কর্মচারী নিয়োগ বোর্ডে ও কর্মকর্তা কর্মচারী দের চাকুরী স্থায়ী করণ এবং অতিত চাকুরীকাল গণণা কমিটিসহ কর্মকর্তা কর্মচারী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কমিটিতে কর্মকর্তাদের দিয়ে কমিটি পুনর্গঠন করা; সহকারী রেজিস্ট্রার/সমমান ৭ম গ্রেড হতে ৬ষ্ঠ গ্রেড এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার/সমমান ৫ম গ্রেড হতে ৪র্থ গ্রেড এর অফিস বাস্তবায়ন করা; অনতিবিলম্বে প্রসাশনের বৈষম্যমূলক আচরণ ও দ্বৈতনীতি বন্ধ করতে হবে।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন পলাশ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা একটি পরিবার। কিন্ত দীর্ঘদিন ধরে আমরা বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। বিশেষ করে বর্তমান রেজিস্টারের উপর আমরা খুবই তিক্ত। তিনি আমাদের দাবিসমূহ সর্বশেষ রিজেন্ট বোর্ডে সঠিকভাবে পেশ করেননি।

মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আমরা আমাদের দাবি নিয়ে উপাচার্য মহোদয়ের কাছেও গিয়েছি। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেন। আশ্বস্ত করলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। তাই আমরা আজকে বাধ্য হয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি। আমরা চাই আগামী ৩ দিনের মধ্যে বর্তমানে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন একজনকে নিয়োগ দিতে হবে।

অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিসমূহ আমরা কর্তৃপক্ষের নিকট তুলে ধরেছি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মকর্তা কর্মচারীরা বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। সর্বশেষ রিজেন্ট বোর্ডে ও আমাদের দাবিসমূহ অনুমোদিত হয়নি। এজন্য কর্মবিরতি দিয়ে আমাদের ৮টি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজকের এ কর্মসূচি। এ দাবিগুলো না মেনে আমাদের কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে চলতে থাকবে।


সর্বশেষ সংবাদ