এমপিওভুক্ত করার আশ্বাসে টাকা আদায়, মাদ্রাসা অধিদপ্তরের সতর্কতা

মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর  © ফাইল ছবি

মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করার কথা বলে একটি চক্র টাকা আদায় করছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখা। অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটলে পুলিশকে জানানোসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছে অধিদপ্তর।

জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন প্রকার প্রতারক চক্র বা ব্যক্তি সরাসরি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের/প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির এমপিওভুক্তিকরণ, এমপিওভুক্ত মাদ্রাসায় বিশেষ বরাদ্দ প্রদান, উচ্চতর স্কেল প্রদান, পদোন্নতি, ডিজি মহোদয়ের প্রতিনিধি মনোনয়নে সহযোগিতাসহ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজ করিয়ে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস বা প্রলোভন দেখাচ্ছে। এমপিও শীটে নাম, পদবি, জন্ম তারিখ সংশোধন, বকেয়া প্রদান, প্রশিক্ষণে শিক্ষক-কর্মকর্তা মনোনয়ন, ইনডেক্স প্রদান, ইনডেক্স কর্তনের কাজও করে দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছে।

এসব আশ্বাসে মাদ্রাসায় ফোন, ইমেইল, হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে এসএমএস, বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা দাবি করছে। ইতিমধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তার নামে একাধিক প্রতারক চক্র বিভিন্ন মাধ্যমে (হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে কর্মকর্তার ছবি ব্যবহার করে) টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে কোনও কাজে টাকা প্রদানের প্রয়োজন নেই। অধিদপ্তর সুনির্দিষ্ট বিধিবিধানের ভিত্তিতে সেবা প্রদান করে থাকে। অর্থের বিনিময়ে বা উপহারের বিনিময়ে কোনও কিছুই হওয়ার সুযোগ নেই। অধিদপ্তরের কার্যক্রম নিয়মিত ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা হয়ে থাকে। যে সমস্ত ফোন নম্বর দিয়ে বিকাশ, রকেট, নগদ বা অন্য কোন মাধ্যমে ফোন করে অর্থ দাবী করে, সে সব নম্বর চিহ্নিত করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করা প্রয়োজন।

আরো পড়ুন: চাকরিতে ৩৫ আন্দোলনকারীদের শাহবাগে জমায়েত 

এ অবস্থায় এ ধরনের প্রতারক চক্র বা ব্যক্তি বা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কথিত কর্মকর্তা কর্তৃক ই-মেইল, এসএমএস, ফোন, চিঠিপত্র কিংবা তাদের ব্যক্তিগত যোগাযোগের ভিত্তিতে কাউকে কোনও অর্থ বা উপহার না দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো। কেউ কোনও ধরনের সুবিধা বা অর্থ দাবী করলেই বুঝতে হবে এটি প্রতারক চক্রের কাজ। এক্ষেত্রে সাথে সাথে পুলিশকে জানানোসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে অধিদপ্তর। জনস্বার্থে বিষয়টি অতীব জরুরি বলে জানানো হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ