করোনায় পিছিয়ে গেল পরিমার্জিত কারিকুলাম বাস্তবায়ন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ জুন ২০২০, ১১:১৭ PM , আপডেট: ০২ জুন ২০২০, ১১:১৭ PM
প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ২০২১ সাল থেকে পরিমার্জিত কারিকুলাম (শিক্ষাক্রম) বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। এখন সেটি এক বছর পিছিয়ে ২০২২ সাল থেকে বাস্তবায়ন শুরু হবে। তবে আগামী বছর থেকে প্রতিটি শ্রেণিতে ব্যবহারের জন্য শিক্ষক গাইড তৈরি করা হবে।
আজ মঙ্গলবার (২ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘২০২১ সালের মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম চালু করার পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জানানো হয়, করোনার কারণে আগামী বছর থেকে পরিমার্জিত নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। তবে ২০২২ সাল থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। তবে ২০২১ সালের জন্য নতুন কারিকুলামের শিক্ষক গাইড তৈরি করা হবে।
বৈঠকে উপস্থিত এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, করোনার কারণে যথাযথভাবে করা যাচ্ছে না। নতুন কারিকুলামের জন্য ২০২১ সাল থেকে আমরা শিক্ষক গাইড করে দেবো। ২০২২ সাল থেকে পুরোপুরি বাস্তবায়ন শুরু করা হবে।
এনসিটিবির তথ্যমতে, ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পরিমার্জিত নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। পরিবর্তিত কারিকুলামে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার কথা রয়েছে। আর প্রাথমিকের শিশুদের বোঝা কমাতে বই কমিয়ে দেওয়ারও প্রস্তাব ছিল পরিমার্জিত কারিকুলামে।
ফলে ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যক্রমের বই হাতে তুলে দেওয়া হবে। পাঠ্যক্রমে শিক্ষার্থীর পাঠ্য বিষয় কমে যাবে। ধারাবাহিক মূল্যায়নে বেশি গুরুত্ব দিয়ে পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে দেওয়া হবে। এতে শিক্ষার্থীদের বোঝা কমবে। তবে করোনার কারণে এই পরিবর্তন নির্দিষ্ট সময়ে করা যাচ্ছে না।