ইন্টারনেটের সর্বনিম্ন গতি হবে ২০ এমবিপিএস, নীতিমালা আসছে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ০৬:১৮ PM , আপডেট: ১৭ মে ২০২৪, ০৬:২১ PM
সরকার ২০ এমবিপিএসকে দেশে সর্বনিম্ন ব্রডব্যান্ড হিসেবে ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, চলতি বছরে ব্রডব্যান্ডের নতুন এ নীতিমালা ঘোষণা করা হবে। শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ওসামনী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিটি উপদেষ্টার নির্দেশনায় আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেখানে অন্ততপক্ষে ২০ এমবিপিএসকে আমরা সর্বনিম্ন ব্রডব্যান্ড হিসেবে ঘোষণা করব। যাতে এর নিচে কেউ ব্রডব্যান্ড সংযোগ দিতে না পারে। আমরা যাতে দেশের প্রতিটি নাগরিককে সুলভ মূলে উচ্চগতির ইন্টারনেট দিতে পারি, এটা আমাদের লক্ষ্য।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আধুনিক ও ভবিষ্যতমুখী প্রযুক্তিগুলো যেভাবে আমাদের জীবনকে সহজ করছে, একইভাবে আমাদের ব্যক্তি, পরিবার, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। এআই প্রযুক্তি একদিকে যেমন সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দিচ্ছে, অপরদিকে আসল-নকল চেনাটা দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে।
‘‘এ কারণে আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় আইনমন্ত্রীর নেতৃত্ব এআই আইন তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছি। যাতে এআই এর সম্ভাবনা আমাদের তরুণ উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তারা ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করতে পারে। তবে এটার যে ঝুঁকি সেটি মাথায় রেখে আমরা কিছু দিক নির্দেশনা দিতে পারি।’’
এ সময় তিনি আরও দুটি আইন করার কথা জানিয়ে বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নতুন টেলিকম আইন প্রণয়ন করব। এছাড়া আমরা আমাদের নাগরিকদের জন্য ব্যক্তিগত ডাটা নিরাপত্তা আইন করতে যাচ্ছি। যাতে নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা হয়।
বাংলাদেশে মেধার ঘাটতি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, দরকার একটু সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার। সেই সুযোগ তৈরি করে দিতে চেয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছিলেন। আমরা প্রতিটি মানুষকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে, সোনার মানুষে পরিণত করতে পারলেই সে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারব।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই, আমরা আজকে একটি গণতান্ত্রিক, মধ্যম আয়ের প্রযুক্তি নির্ভর মর্যাদাশীল ডিজিটাল বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা যদি ফিরে না আসতেন, তাহলে আজকে আমরা হয়তো একটি দরিদ্র, সন্ত্রাসকবলিত ব্যর্থ রাষ্ট্রের অসম্মানজনক নাগরিক হিসেবই হয়তো আমাদের পরিচয় দিতে হতো।