ভাপা না চিতই, কোন পিঠা সেরা—জবিতে বিতর্ক

জবিতে আয়োজিত পিঠা বিতর্ক প্রতিযোগিতা
জবিতে আয়োজিত পিঠা বিতর্ক প্রতিযোগিতা  © সংগৃহীত

বাংলা পঞ্জিকায় এখন মাঘ মাস। প্রকৃতিতে বইছে হিমেল হাওয়া। শীতের কুয়াশা ভেদ করে গাছিরা খেঁজুর রস সংগ্রাহ করেন এ মৌসুমে। তাদের হাতে তৈরি গুড়, মিঠাই ও রসে গ্রাম থেকে শহরে এ সময় পিঠাপুলির আয়োজন হতে থাকে। এমনই সময় জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (জেএনইউডিএস) আয়োজন করেছে পিঠা বিতর্কের।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দেশের শীর্ষস্থানীয় তিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান বিতার্কিকদের অংশগ্রহণে এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। তর্কজালের পরিকল্পনায় ও আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিবেদিতা রায়।

শীতকালে নানা স্বদের পিঠার মধ্যেও থাকে জনে জনে বিশেষ পছন্দ। পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে বিতর্কের বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘তোরা যে যা বলিস ভাই আমার...পিঠা চাই।’ পিঠা নিয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ বিতর্কে মালপোয়া, চিতই, পাটিসাপটা, ভাপা, পুলি ও নকশি পিঠা নিয়ে কথা বলেন বিতার্কিকরা।

এতে ‘পুলি পিঠা’ হিসেবে টিআইবির সহসমন্বয়ক ও জাহাঙ্গীরনগর ডিবেটিং অর্গানাইজেশনের (জুডো) সাবেক সহসভাপতি জাফর সাদিক, ‘মালপোয়া পিঠার’ স্বাদ-গুণ বর্ণনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এফ রহমান ডিবেটিং ক্লাবের মবিন মজুমদার। একই ক্লাবের বিতার্কিক সালেহীন ইবনে কবির বলেন ভাপা পিঠা নিয়ে।

নকশি পিঠার শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরেন জেএনইউডিএসের বিতার্কিক রোকসানা মিতু, পাটিসাপটা সম্পর্কে বলেন ঢাবির কুয়েত মৈত্রী হল ডিবেটিং ক্লাবের ফারজানা নির্জনা। এ শীতে চিতই পিঠার কদর কতটা তা তুলে ধরেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল ডিবেটিং ক্লাবের বিতার্কিক তাসমিম মৌলি।

আরো পড়ুন: সেই আলিফ প্রফেশনাল মাস্টার্সের প্রথম সেমিস্টারে দ্বিতীয়, তার মা নবম

বিতর্ক শেষে সভাপতির প্রতিক্রিয়ায় ড. নিবেদিতা রায় বলেন, প্রাচীন বাংলায় মুসলীম সমাজে সম্ভ্রান্ত নারীদের ‘বিবি’ বলা হত। তাদের সম্মানে অভিজাত পরিবারগুলোতে বিশেষ এক ধরনের পিঠার আয়োজন করা হত। যেটিকে বর্তমানে বিবিখানা নামে ডাকা হয়। এমনকরে বাংলার একেক পিঠার পিছনে হয়ত চমৎকার কিছু গল্প রয়েছে। এ ধরনের বিনোদনমূলক বিতর্কের মধ্য দিয়ে আমরা সে গল্পগুলো তুলে ধরতে পারি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শরীফ নুরজাহান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির আহবায়ক এম এ সাঈদ চৌধুরী, জেএনইউডিএসের দপ্তর সম্পাদক মেরশেদ হাসান আসিফ, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা সম্পাদক সোহেল রানা, কার্যনির্বাহী সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম সাগর ও তানজীদ হাসান এবং জবির আইইআর ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাদিয়া ফারহানা তিতলী।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এর আগে তর্কজালের পরিকল্পনায় ও সহযোগীতায় ঢাবিতে ফল বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিনোদনমূলক বিতর্কের ধারাবাহিক আয়োজনের অংশ হিসেবে এবার জবিতে অনুষ্ঠিত হল পিঠা বিতর্ক।


সর্বশেষ সংবাদ