‘ঢাবি ছাত্রের টাকা দরকার তাই আমার পরীক্ষা দিছে, আপনার সমস্যা কী?’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২২, ০৪:৩৫ PM , আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২২, ০৫:৫২ PM
আজ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবির আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বের হয়ে আসে আরো কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। আটককৃত আবির জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাও প্রক্সি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আবির জানিয়েছেন, তিনি এর আগেও প্রক্সি দিয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের ‘সি ইউনিট‘ ভর্তি পরীক্ষায় অন্য আরেক শিক্ষার্থীর হয়ে প্রক্সি দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি স্বীকার করেছেন প্রক্সির আশ্রয় নেয়া আরেক ভর্তিচ্ছুও। তিনি বলেন, ‘ঢাবি ছাত্রের কাজ নাই, টাকা দরকার ছিল তাই পরীক্ষা দিছে। তাতে আপনার অসুবিধা কি?’
অনুসন্ধানে জানা যায়, রবিবার (৩১ জুলাই) অনুষ্ঠিত ‘সি ইউনিট’ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ইশতিয়াক মুবিন আসিফের পরিবর্তে প্রক্সি দিতে যান আবির। তবে ওই দিন আবির প্রশাসনকে ফাঁকি দিতে সফল হন। ভর্তিচ্ছু ইশতিয়াকের ভর্তি পরীক্ষায় রোল নম্বর ৩১১৮৫৯৭। তার বাবার নাম মো: আবুল কাশেম মালিক ও মায়ের নাম আনজু বেগম।
এই বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের অফিস থেকে যোগাযোগ করা হলে এক পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ও প্রক্সি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন ইশতিয়াক। ওই ছাত্র আরো বলেন, ‘ঢাবি ছাত্রের কাজ নাই, টাকা দরকার ছিল তাই পরীক্ষা দিছে। তাতে আপনার অসুবিধা কি? এখন আপনার সমস্যাটা কোথায় এটাই তো বুঝলাম না। ভ্যারিফাই করা কি আপনার কাজ? আপনাকে কি প্রশাসনিক স্বার্থে এই কাজ দিয়েছে? কোন প্রশাসনিক কোন দপ্তর থেকে আপনাকে এই কাজ দিছে?
আপনি কাকে ফোন দিছেন আপনি জানেন? আপনারে আমার নাম্বার দিছে কে?’
আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি: ফের আটক ঢাবি শিক্ষার্থী
জানা গেছে, আটককৃত আবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসিম উদ্দিন হলের আবাসিক ছাত্র। সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আইডি কার্ড এর সাথে মিল না পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়েছে। উনাকে আমরা পুলিশের কাছে সোপার্দ করেছি। পুলিশ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে পুরো সিন্ডিকেটের তথ্য আমাদের সামনে তুলে আনবে এবং সঠিক বিচারের মাধ্যমে ভবিষ্যতে যেন এমন কাজ না করতে পারে তার ব্যবস্থা করবে।