আড়াই মাস আটকে রেখে তরুণীকে ধর্ষণ, মামলা

আটকে রেখে ধর্ষণ
আটকে রেখে ধর্ষণ   © প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জে এক তরুণীকে প্রায় আড়াই মাস একটি বাসাবাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৯ মে) কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে, রোববার ওই তরুণীর মা ‘মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ’ অভিযোগে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উপজেলার তাতারকান্দি এলাকায় পাদুকাশ্রমিক সমীর মিয়াকে (৫০) একমাত্র আসামী করা হয়েছে।  

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে ওই কিশোরীর মোবাইল ফোনে অপরিচিত নম্বর থেকে একটি কল আসে। ফোন রিসিভের পর অপরিচিত হওয়ায় কিছুক্ষণ কথা বলে ফোনটি কেটে দেন তিনি। পরে বারবার কল আসতে থাকে আর রিসিভ করলেই কথা বলার অনুরোধ করেন। এভাবেই কথাবার্তা শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মোবাইলেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে দেখা করার জন্য দাড়িয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় স্থান নির্ধারণ হয়। 

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, দেখা করতে গিয়ে ওই কিশোরী দেখতে পান, ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তার দিকে এগিয়ে আসছেন। পরিচয় দেন তিনিই সমীর। কিশোরী জানান, কথা বলার সময় তিনি তাকে তরুণ ভেবেছেন ও জেনেছেন অবিবাহিত। বাবার বয়সী হওয়ায় কিশোরী চলে আসতে চাইলে সমীর তার মুখে রুমাল চেপে ধরে অজ্ঞান করে কোথাও নিয়ে যান। এরপর একটি বাড়িতে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন চালান সমীর। পরে ওই কিশোরী সমীরের এক সহযোগীর মাধ্যমে জানতে পারেন, ওই জায়গার নাম গাজীপুর সাইনবোর্ড।

আরও পড়ুন : নিখোঁজ নয়, কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি ছাড়েন সেই চার শিক্ষার্থী 

এ ঘটনায় ওই তরুণীর মা বলেন, চার বছর আগে স্বামী মারা গেছেন। অন্যের বাড়িতে কাজ করেন তিনি। এর মধ্যে মেয়ে নিখোঁজ হয়। মেয়েকে না পেয়ে থানায় জিডি করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, এরপর থেকে সমীরকেও এলাকায় দেখা যায়নি। লোকমুখে শুনতেন, মেয়ে সমীরের সঙ্গে পালিয়েছে। ঈদে সমীর একা বাড়ি ফিরে। বিষয়টি পুলিশকে জানান তিনি। পরে পুলিশের সহযোগিতায় মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। মেয়ে বাড়ি ফিরে সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বলে। তাকে আড়াই মাস আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে সমীর।

কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, মামলার পর থেকেই আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ