নিউমার্কেটে সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত চান ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থীরা

নিউমার্কেটের সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত চান ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থীরা
নিউমার্কেটের সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত চান ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থীরা  © ফাইল ফটো

নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় উস্কানি দেয়ার অভিযোগে ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। ২৪ জনই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এছাড়া অজ্ঞাত আসামী এক হাজার ৪০০ জন। ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের দাবি, কোনো রাজনৈতিক তদন্ত নয়, সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের বের করতে হবে।

নিউমার্কেট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শ ম কাইয়ুম দাবি করেছেন, ‘‘গোয়েন্দা তথ্য এবং তদন্তের মাধ্যমে এই ২৪ জনের নাম উঠে এসেছে। এখনও তদন্ত চলছে। পুরোপুরি তদন্ত হলে নিশ্চিত করে বলা যাবে এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত।’’ আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে ওসি আরো দাবি করেন, তারা সঠিকভাবেই তদন্ত করছেন। ওসির দাবি, মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে, তাদের মধ্যে যাদের কারণে এই ঘটনা, তাদের নামও আছে।

এই সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। এ দুই মামলায় নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও সংঘর্ষে নিহত নাহিদের বাবা মো. নাদিম হোসেন বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করেন।

এই তিন মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনকে। তবে তিনটি মামলার মধ্যে শুধু পুলিশের করা একটি মামলাতে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তারা হলেন, অ্যাডভোকেট মকবুল, আমির হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপু, হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহিদুল ইসলাম শহিদ, জাপানি ফারুক, মিজান বেপারী, আসিফ, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, তোহা, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল।

আরও পড়ুন: নিউমার্কেটের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ জড়িত: মির্জা ফখরুল

তবে এজাহারে নাম থাকা ওই আসামিদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট মকবুলের পুরো নাম অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন সর্দার। তিনি নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি। বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য। যে দুটি দোকানের কর্মচারীদের নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত, ক্যাপিটেল ফাস্ট ফুড ও ওয়েলকাম ফাস্ট ফুড নামের দোকান দুটির মালিক তিনি।

যদিও তার দুই চাচাতো ভাই দোকানগুলো চালান এটা দুই নম্বর আসামি আমীর হোসেন আলমগীর নিউমার্কেট থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক, মিজান ওই থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, টিপু ছাত্রদলের নেতা, জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী নিউমার্কেট বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে মহানগর বিএনপির সদস্য, হারুন হাওলাদার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, জাহাঙ্গীর মিঠু সহসাংগঠনিক সম্পাদক, শন্টু ওরফে নান্টু সহ-সভাপতি, শহীদ ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও নিউমার্কেট বিএনপির সহ-সভাপতি জানিয়েছেন।

সম্পাদক, মিজান ব্যাপারী যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য সচিব এবং নিউমার্কেট ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক।

সরাসরি আসামি করা ব্যক্তিদের মধ্যে রহমত ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, সুমন ওয়ার্ড কমিটির সদস্য, জসিম থানা কমিটির সদস্য, বিল্লাল ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, হারুন যুবদলের ওয়ার্ড নেতা, তোহা নিউমার্কেট থানা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক, মনির স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি, বাচ্চু ও জুলহাস ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল ওয়ার্ড যুবদলের পদধারী নেতা। এজাহারে থাকা আসামিদের মধ্যে টিপু দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে রয়েছেন। এছাড়া জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী ওই এলাকায় এখন আর ব্যবসা করেন না। [সত্র: ডয়চে ভেলে বংলা]


সর্বশেষ সংবাদ