সহকারী শিক্ষকের ঘুষিতে রক্তাক্ত প্রধান শিক্ষক

আহত প্রধান শিক্ষক সাজেদা বেগম (বামে), অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মাহবুবর রহমান
আহত প্রধান শিক্ষক সাজেদা বেগম (বামে), অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মাহবুবর রহমান  © ছবি : সংগৃহীত

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

আহত শিক্ষকের নাম সাজেদা বেগম। তিনি বেলগাছা ইউনিয়নের নাগদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। একই স্কুলের প্রাক-প্রাথমিক শাখার সহকারী শিক্ষক মাহবুবর রহমানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সকালে প্রধান শিক্ষকের রুমে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নজরুল ইসলামের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. নার্গিস ফাতিমা এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঘটনার পর আহত প্রধান শিক্ষক কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক সাজেদা বেগমের ভাষ্যমতে, স্থানীয় বাসিন্দা এবং যুবলীগ কর্মী পরিচয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মাহবুবর রহমান আগে থেকে উগ্র আচরণ করেন। সোমবারও (৩ জানুয়ারি) তার সঙ্গে ওই শিক্ষকের কথা-কাটাকাটি হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তিনি স্কুলে যাওয়ার পর স্কুল কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামকে ডেকে নেন। এর কিছুক্ষণ পর প্রাক-প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক মাহবুবর রহমান প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢুকে তার গলা চেপে ধরেন এবং উপর্যুপরি ঘুষি মারতে থাকেন। এতে প্রধান শিক্ষক সাজেদা বেগমের বাম চোখের পাশে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে রক্ত ঝরতে থাকে।

উপস্থিত স্কুল কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম এগিয়ে এসে শিক্ষক মাহবুবকে জাপটে ধরে প্রধান শিক্ষককে রক্ষা করেন। পরে অন্য শিক্ষক ও স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

সাজেদা বেগম বলেন, ‘এ ঘটনার পর থেকে আমি আতঙ্কে রয়েছি। আমার নিজের এবং অন্যান্য সহকারী শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে জানতে সহকারী শিক্ষক মাহবুবর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৈফিকুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ