বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ
- কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৫ PM , আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৫ PM

কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে মারধর ও তার কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা শাহিদা বেগম শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেছেন তিনি। শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম।
কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার শামসুল আলম ও তার ছেলে মো. শিহাবসহ ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে। বাদী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঈদ উপলক্ষে বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন মেহেদী হাসান। বটতলা বাজার এলাকায় পৌঁছালে শিহাব (৩০), মো. সামছুল আলম (৫৫), সিরাজুল ইসলাম (২৬) ও আরও ১০-১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের পথরোধ করেন।
রাজনৈতিক বিরোধের জেরে মেহেদী ও তার সঙ্গীদের শিবেরডাঙ্গী নয়াপাড়া সেতু এলাকায় পথরোধ করে তার কাছে থাকা স্মার্টফোন ও মোটরসাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নেন। এরপর তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মেহেদী হাসানকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে মেহেদীর সঙ্গীরা তাকে রেখে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
আরো পড়ুন: কুমিল্লা থেকে মোটরসাইকেলে ধাওয়া, নোয়াখালীর সুধারাম থানায় গিয়ে রক্ষা বাস যাত্রীদের
সেখান থেকে মেহেদীকে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে গলায় চাপ দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেন তার মা শাহিদা বেগম। পরে মেহেদীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন রাতেই।
মেহেদীর মা শাহিদা বেগম হামলাকারীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো ও হুমকি-ধমকির অভিযোগও করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের অন্যতম মো. শিহাব বলেন, ‘আমি আমার বক্তব্য থানায় দিয়েছি। বাকিটা তারা দেখবে।’
এ বিষয়ে রাজীবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’