নিখোঁজের দু’দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল ছাত্রের মরদেহ
- নোয়াখালী প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৮ AM , আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৮ AM

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় নিখোঁজের দু’দিন পর শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে আব্দুুল হামিদ রায়হান (১৭) নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা তাৎক্ষণিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ হুগলি গ্রামের নাপিত বাড়ির সেফটি ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে রায়হান নিখোঁজ হয়।
নিহত রায়হান একই গ্রামের হাজী বাড়ির কৃষক আলমগীরের ছেলে এবং স্থানীয় খলিফারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। আটক মারুফ হোসেন (২৫) একই বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত মঙ্গলবার রাতে ঘর থেকে মসজিদে যাওয়ার পথে স্কুলছাত্র রায়হান নিখোঁজ হয়। এর পরদিন একই বাড়ির তার দূরসম্পর্কের চাচা মারুফকে পুলিশের সহযোগিতায় আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেন স্বজনেরা। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে রায়হানকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান মারুফ।
তার ভাষ্যমতে, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। রায়হানকে হত্যার পরে মোবাইল ফোনে নিহতের পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে মারুফ। ওই কললিস্টের সূত্র ধরে পুলিশ ঘাতক খুনিকে আটক করে মরদেহ উদ্ধার করে।
আরো পড়ুন: নিজ এলাকায় সারজিসের সঙ্গে বিএনপি নেতার বাকবিতণ্ডা, কী ঘটেছিল সেখানে?
নিহতের বড় ভাই হারুনুর রশিদ বলেন, মারুফের সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। তিনি কেন আমার ভাইকে হত্যা করেছে, বিষয়টি আমরা জানি না।
সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শেখ কামাল বলেন, রায়হান বাড়ি থেকে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে মারুফ ডাব পাড়ার কথা বলে তাকে বাড়ির পাশের নাপিত বাড়ির বাগানে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে সেখানে আরও তিন-চার জন যুবকসহ রায়হানের চোখের ভ্রুয়ের ওপর চুরিকাঘাত ও মারধর করে তাকে হত্যা করে। পরে মরদেহ বাড়ির চৌশাগারের সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেয়।
এসআই মো. শেখ কামাল আরও বলেন, পুলিশ অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে চালিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে তারা গাঁ ঢাকা দেয়। নিহত রায়হানের মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।