আবু সাঈদ হত্যা: পুলিশ-ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ

রংপুরে পুলিশের গুলিতে শহীদ আবু সাঈদ
রংপুরে পুলিশের গুলিতে শহীদ আবু সাঈদ  © সংগৃহীত

জুলাই গণআন্দোলন চলাকালে রংপুরে পুলিশের গুলিতে শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় দুজন পুলিশ কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগ নেতাসহ চার জনকে আগামী ৯ এপ্রিল  আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এই চার জন হলেন— বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান চৌধুরী আকাশ, এসআই আমির আলী, এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়। এই চারজন আবু সাঈদ হত্যায় সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ করেন চিফ প্রসিকিউটর। জুলাই আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। ১৬ জুলাই নিহত হন তিনি।
আজ রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) এই মামালার শুনানি শেষে ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান চিফ প্রসিকিউটর।

শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘শহীদ আবু সাঈদের এই হত্যাকাণ্ডের আগে বেরোবির সাবেক প্রক্টর ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কয়েক দফা হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের বাইরে বের করে আনে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একপর্যায়ে দুজন পুলিশ ঠান্ডা মাথায় আবু সাঈদকে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সরাসরি এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে তদন্তে আমরা প্রমাণ পেয়েছি। তারা সবাই ইতোমধ্যেই অন্য মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। আগামী ৯ এপ্রিল তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।’

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আশা করি, নির্ধারিত তারিখের মধ্যেই এই প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব হবে। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশদাতা শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আমরা হয়তো এ মাসের মধ্যেই তদন্ত সংস্থার কাছ থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি হচ্ছে, সেটি পেয়ে যাবো। এ লক্ষ্যে আমাদের তদন্ত সংস্থা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত,  গত ১৩ জানুয়ারি জুলাই আন্দোলনে রংপুরে নিহত শহীদ আবু সাঈদের পরিবার ২৫ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসে অভিযোগ দায়ের করেন। সূত্র: বাসস


সর্বশেষ সংবাদ