নেতাকর্মীদের নিয়ে হোটেলে খেয়ে বিল দেন না ছাত্রলীগ নেতা মারুফ

কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান  © সংগৃহীত

দীর্ঘ ৭ মাস ধরে একটি হোটেলে নেতাকর্মীদের নিয়ে খাবার খেয়ে বিল না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানের বিরুদ্ধে। বিল চাওয়ায় হোটেল মালিকসহ কর্মচারীদের মারধর এবং হোটেল ভাঙচুর করে টাকা লুট করে নিয়ে যায় মারুফ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় হোটেল মালিক মো. শাহাবুদ্দিন বাদী হয়ে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান তার সহযোগীদের নিয়ে গত ৭ মাস ধরে প্রতিরাতে শাহাবুদ্দিনের ভাতের হোটেলে খেয়ে আসছেন। খাবারের বিল চাইলে মারুফ আদনান ধমক দিয়ে খাতায় লিখে রাখতে বলেন।

গত মঙ্গলবার রাতে তিনি সহযোগীদের নিয়ে সেখানে রাতের খাবার খাওয়ার পর হোটেলের পক্ষ থেকে আগের বকেয়াসহ সব টাকা চাওয়া হলে মারুফ ও তার লোকজন হোটেল মালিক শাহাবুদ্দিনকে মারধর করেন। এ সময় ছেলেকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে শাহাবুদ্দিনের বাবা ওয়াদ আলীকেও মারধর করা হয় এবং হোটেলের ক্যাশে থাকা ৩০ হাজার টাকা তারা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। পরে ছাত্রলীগ নেতা মারুফ ও লোকজন হোটেলটি তছনছ করে চলে যায়। 

এ ঘটনায় মারুফ আদনান ছাড়াও স্থানীয় ছাত্রলীগকর্মী আসাদুজ্জামান সায়েম, আফনান আদনান, ওয়াশিক আহমদ, মুন্না, শফিউল আলম লাকী ও সাইমনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ আনেন হোটেল মালিক শাহাবুদ্দিন।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে বার ভাংচুর করে টাকা ও শতাধিক মদের বোতল লুট ছাত্রলীগের

ভুক্তভোগী হোটেল মালিক শাহাবুদ্দিন জানান, প্রতিদিন লোকজন নিয়ে আমর হোটেলে খান তিনি। বিল চাইলেই শুধু খাতায় লিখে রাখতে বলে। সে একা খেলেও হতো কিন্তু তার সহোযোগীদের নিয়ে খেয়ে আমর পুঁজি একেবারে শেষ করে দিয়ে দিয়েছে। আমি না পারতে বুধবার রাতে বকেয়ো টাকা চাইলে আমারসহ আমাকে ও দোকানের কর্মচারীদের মারধর করে। হোটেল ভাঙচুর করে। কোনো উপায় না পেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তার কাছে আমার ৩ লাখ টাকার বেশি পাওনা আছে।

শাহাবুদ্দিন আরও জানান, থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে মারুফসহ তার সহযোগীরা।
 
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন 'আমার বিরুদ্ধে থানায় যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তা পুরোপুরি মিথ্যা। আমার ও আমার সংগঠনের সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি কুচক্রি মহল ষড়যন্ত্র করছে। 

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুজ্জামান জানান, এক হোটেল মালিক একটি অভিযোগ করেছে। সে ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাদী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ