শাবির ৯ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

মারধর করার অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৯ নেতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন সংগঠনটির কর্মী ফারদিন কবীর। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে মামলার অভিযোগ দাখিল করেছেন তিনি।

পরে আদালতের বিচারক মো. সুমন ভূঁইয়া সিলেটের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মারধরের শিকার ও অভিযোগকারী ফারদিন কবীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ফিন্যান্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

ফারদিন কবীর তার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক সজীবুর রহমান, তার অনুসারী সাজ্জাদ হোসেন সহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা ১৪-১৫ জনকে আসামি করেছেন তিনি।

ফারদিন কবীরের আইনজীবী প্রবাল চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার আদালতের বিচারকের কাছে হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে আবেদন করেন ফারদিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জালালাবাদ থানার ওসিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতে করা মামলার আবেদন সূত্রে জানা গেছে, ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে অভিযুক্তদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ফারদিন কবীরের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসাও হয়। কিন্তু ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলে ফারদিনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তাকে লোহার রড দিয়ে মারধর করে আহত করা হয়। পরে তিনি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

ফারদিন কবীর বলেন, হামলার পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করেন। এরপর তিনি সিলেটের জালালাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে যান। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে মামলা গ্রহণের ব্যাপারে অনুমতি পাওয়া না গেলে মামলা নেওয়া সম্ভব নয়। এতে বাধ্য হয়ে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের প্রাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান খান বলেন, শাহপরান হলে মারধরের ঘটনাটি বাইরের থেকে উৎপত্তি হয়েছিল। এরপরও ওই ঘটনায় হলের তিনজন কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা তদন্তের পর প্রতিবেদন দেবেন। তবে কত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে, সেটির কোনো নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়নি বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয়ে অভিযোগের বিষয়টি শুনেছেন, খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান বলেন, আদালতের নির্দেশনা এখনো (সোমবার বিকেল চারটা) থানায় পৌঁছায়নি। নির্দেশনা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ