অ্যাম্বুলেন্সে মাদক আনতে গিয়ে জাবির দুই শিক্ষার্থী আটক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

অ্যাম্বুলেন্সে করে মাদক নিয়ে যাওয়ার সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। বর্তমানে তাদের বংশাল থানায় রাখা হয়েছে।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বংশাল থানার ঢাকা ব্যাংকের সামনে থেকে ওই দুই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। আটককৃতরা জাবির ৪৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বংশাল থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন। তিনি বলেন, আমি মাদক সহ তাদের দুজনকে আটক করে থানায় দিয়ে দিয়েছি। আমার ডিউটির সময় শেষ হওয়ায় বিস্তারিত বলতে পারছি না।

জাবির একটি সূত্র জানিয়েছে, কিছুদিন পর জাবির ৪৩ ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী উৎসব (র‌্যাগ ডে) উদযাপন করা হবে। অনুষ্ঠান উপলক্ষে বংশাল এলাকায় মদ কেনার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী রোগী আনার কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে মাদক ক্রয় শেষে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ফিরছিলেন তারা। পথে ঢাকা ব্যাংকের কাছে পৌঁছানোর পর পুলিশ মাদক বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করে।

এ বিষয়ে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান জানিয়েছেন, আটককৃতরা সাধারণ শিক্ষার্থী। তাদের সন্দেহের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছিল। তল্লাশি করে তাদের কাছে কোন মাদক দ্রব্য পাওয়া যায়নি।

মাদক না পেলে স্পট থেকে আটককৃতদের থানা পর্যন্ত কেন নিয়ে আসতে হলো, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তখন ডিউটি অফিসার স্পটে ছিল না বলে থানায় নিয়ে আসা হয়। 

তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, এখনো বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। এসআই আমাকে রিপোর্ট দিলে ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে বিস্তারিত জানাতে পারব।

বংশাল থানার নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মাদকসহ আটক করা হলেও জাবির কিছু সাবেক ছাত্রের চাপে তাদের ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে পাশাপাশি মাদক গুলোও ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।  জাবিতে ৪৩ ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী উৎসবের রাজা-রানী নির্বাচন ঘিরে এসব মাদক আনা হয় বলেও সূত্রটি জানিয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট অ্যাম্বুলেন্স চালকের নাম আসাদুল্লাহ। আসাদুল্লাহকে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমরা বংশালেই আছি। তিনি এর বেশি কিছু বলেননি। 

চিকিৎসা কেন্দ্রের আরেকটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে ঢাকার ইসলামিয়া হাসপাতাল থেকে ফেরার কথা ছিল চালক আসাদুল্লাহর। কিন্তু রোগী আনার কথা বলে অ্যাম্বুলেন্স বংশালে নিয়ে যান তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে মাদক পরিবহন করা হয়। 


সর্বশেষ সংবাদ