প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি গ্রেপ্তার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৩:৩২ PM , আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:১১ PM
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে জেলা শহরের পুরাতন ডায়াবেটিস হাসপাতাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম মাহবুব আলম শিপুল। তিনি কমলনগর উপজেলার চর লরেন্স এলাকার মো. বাচ্চুর ছেলে এবং তিনি কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে ওই কিশোরীর চাচী বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর রাত ৯টার দিকে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি মোসলেহ উদ্দিন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরী কথা বলতে পারে না, কানেও শোনে না। ছোটোবেলাতেই তার বাবা মারা যায়। এরপর তার মা তাকে ছেড়ে চলে গেলে কিশোরী তার চাচা-চাচীর কাছে বড় হয়।
গ্রেপ্তারকৃত শিপুল একই এলাকায় বসবাস করে এবং সে রাস্তাঘাটে ওই কিশোরীকে দেখলেই ইশারায় প্রেমের প্রস্তাব ও খারাপ ইঙ্গিত করতো। ভুক্তভোগী তাতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিতো। একপর্যায়ে ইশারা-ইঙ্গিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শিপুল তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে।
আনও পড়ুন: সম্মেলন থেকে ফেরার পথে ছাত্রলীগের বাসে বোমা হামলা
কিশোরীর চাচা-চাচী চাকরিজীবী হওয়ায় দিনে তারা বাড়িতে থাকেন না। এই সুযোগে গত চার মাস ধরে শিপুল কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। সোমবার সকালেও কিশোরীর চাচা-চাচী অফিসের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। এর পরপরই শিপুল ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এরমধ্যেই জরুরি কাজে কিশোরীর চাচী বাসায় আসেন। তিনি ঘটনাটি দেখে চিৎকার দিলে শিপুল পালিয়ে যায়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি জানিয়েছেন, পারিবারিক বিরোধের জেরে তাকে ফাঁসানোর কথা শুনছি। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ওসি মোসলেহ উদ্দিন জানান, বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ইশারায় স্বর্ণালংকার দেওয়া ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা গ্রহণ কারা হয়েছে। অভিযুক্তকে মামলার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।